ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর : মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হোটেল মালিকরা আদালতের শরণাপন্ন হন। তাদের হয়ে মামলাটি লড়ছেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ জানিয়েছে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙা যাবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে দিল্লি হাই কোর্টে বড় ধাক্কা, ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি
এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে হোটেল মালিকদের কিছুটা স্বস্তি মিলেছে
বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন বলেন মন্দারমণিতে কোন হোটেল বৈধ এবং কোনটি অবৈধ তা নিয়ে সমীক্ষা করা প্রয়োজন। হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে কল্যাণবাবু জানান ট্রাইব্যুনালের রায়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। সাধারণত ট্রাইব্যুনাল সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত হয় কিন্তু এই রায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল দিয়েছে, যা প্রথাগত নয়। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনাল নিজের সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্য সংস্থার ওপর দায়িত্ব দিয়েছে যা নিয়মবহির্ভূত।কল্যাণবাবু আরও দাবি করেন যে মন্দারমণির কোনো হোটেল বেআইনি নয়। হোটেলগুলি ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে নির্মিত হয়েছিল, তখন বর্তমান আইন প্রযোজ্য ছিল না। তিনি বলেন, ‘যে আইনে হোটেলগুলো বেআইনি বলা হচ্ছে সেটি তখন কার্যকর ছিল না। তাছাড়া আইনে উল্লেখ রয়েছে বিধিভঙ্গ হলে ৬ মাসের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে। ২০০৯ সালে তৈরি হোটেলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে করা অভিযোগ কীভাবে বৈধ হতে পারে?’
প্রকাশ্যে এলেন খালেদা জিয়াঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ১২ বছর পর অংশগ্রহণ
এর আগে, ১৪০টি হোটেল বেআইনি ঘোষণা করে সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল এনজিটি। হোটেল ভাঙার সময়সীমা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে প্রশাসন আপাতত হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। আদালতের এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে হোটেল মালিকদের কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।