ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর : রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। বুধবার মধ্যমগ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়রাজপুরে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয়দের দাবি স্মার্ট মিটার বসানোর বিষয়ে আগে থেকে কোনও নোটিশ বা প্রচার করা হয়নি। তাই তাদের এলাকায় এই কাজ করতে দেওয়া হবে না।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি| রবি ফসল চাষে চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
কর্মীরা কাজ বন্ধ করে এলাকাছাড়া হন
সেদিন কাজী নজরুল ইসলাম সরণিতে বাড়ি বাড়ি মিটার বসানোর জন্য দুই কর্মী গেলে বাসিন্দারা তাদের থামিয়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই কর্মীরা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে বৈধ কোনও নির্দেশপত্র দেখাতে পারেনি। এতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয় এবং শেষে কর্মীরা কাজ বন্ধ করে এলাকাছাড়া হন।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপে কয়েক লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রিডিং নেওয়ার ঝঞ্ঝাট কমবে। অফিস থেকে রিডিং দেখা সম্ভব হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭ লক্ষ মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে এবং পরে তা ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে।
আদানি কাণ্ডে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না, দাবি আমেরিকার হোয়াইট হাউসের
স্মার্ট মিটার আসলে প্রিপেইড মিটার বসানোর প্রথম ধাপ। তাই এর বিরোধিতা করছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় স্মারকলিপি দিয়ে এই প্রকল্পের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা জানিয়েছে, ঠিকাদারদের কাছে বৈধ নথি রয়েছে এবং গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু এতে সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।