ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর : নভেম্বর শেষের পথে ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে রাজ্যে শীতের আমেজ ধরা দিয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে। জেলায় জেলায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। তবুও শীতপ্রেমীদের প্রশ্ন কবে আসবে জাঁকিয়ে শীত?
ভবানীপুরে অগ্নিকাণ্ড, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আপাতত তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, এবং হুগলির কিছু অংশে কুয়াশা ঘিরে রাখবে সকালের পরিবেশ। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, এবং কোচবিহারেও শুক্রবার ও রবিবার সকালের দিকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে।এদিকে বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সুমাত্রা উপকূলের ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে যা আগামীকাল ২৩ নভেম্বর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ভবানীপুরে অগ্নিকাণ্ড, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা
এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে থাকায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি আরও এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ু উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে।মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এই নিম্নচাপের বিশেষ প্রভাব বাংলায় পড়বে না। শীত নিয়ে আশার কথা, তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা না থাকলেও শিরশিরানিটা বেশ উপভোগ্য হতে চলেছে।