ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:গত মাসে, মুম্বইয়ে এনসিপি নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানো, পাশাপাশি ২০২২ সালে পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইকে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। আনমোলের গ্রেফতারের খবর শিরোনামে উঠে এসেছে, কারণ তাকে ভারতের পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছিল। আনমোলের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) সহ দেশের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির তদন্ত চলছে।
পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য প্রস্তুত, ভারতকে জানাতে বললেন পিসিবি চেয়ারম্যান
বিভিন্ন অভিযোগ
গত মাসে, মুম্বইতে সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম সামনে আসে, যার নেতৃত্বে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই, এবং তার ভাই আনমোলও এই গ্যাংয়ের সদস্য। এরই মধ্যে আনমোলকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে। জানা গেছে, আনমোলকে আমেরিকান পুলিশ হেফাজতে তদন্ত করছে। গত মাসে মুম্বইয়ের আদালত আনমোলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করে। মুম্বই পুলিশ তার জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তাকে দ্রুত ভারতে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা করছিল। তবে, এর মাঝেই আমেরিকায় আনমোলের গ্রেফতারির খবর আসে, যা ভারতের এজেন্সির জন্য বড় একটি সাফল্য।এদিকে, এনআইএ ও ভারতের ‘অ্যান্টিটেরর এজেন্সি’ গত মাসে আনমোলকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখে এবং তার গ্রেফতারের জন্য ১০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করে। আনমোলের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৮টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ২টি মামলা এনআইএ-র আওতায় এবং বাকি মামলা গ্যাং সংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
কলকাতা মেট্রোয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরঃ সুরক্ষার জন্য খরচ কিন্তু বাধা প্রযুক্তির
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিটলিস্টে অপর এক নামও উঠে এসেছে। গত বছর দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো করে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা। শোনা যাচ্ছে, আফতাবও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিটলিস্টে রয়েছে।লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি বর্তমানে গুজরাটের একটি জেলে বন্দী, তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার গ্যাংয়ের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়েছে।বিশেষ করে কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকায় আনমোলের গ্রেফতারের ঘটনা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে এবং এটি ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।