ব্যুরো নিউজ,১৭ নভেম্বর:বাংলাদেশে সংবিধান পরিবর্তনের দাবি নিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নয়াদিল্লির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে এ সময় দেশে সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
সামাজিক প্রকল্পের টাকার প্রতারণা রুখতে নতুন ব্যবস্থা
নতুন বিতর্কের জন্ম
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ‘সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ’-এর আয়োজনে একটি সম্মেলনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের সংবিধান জনগণের ভাষায় লেখা হয়নি। সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে। বক্তারা বলেছেন, দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। তাই সংবিধানকে ইসলামিক পরিচয়ে ঢেলে সাজানো উচিত।সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শেখ হাসিনার পাপের বিচার হওয়া উচিত।
মোদীর নাইজেরিয়া সফরঃ ভারত-নাইজেরিয়ার সম্পর্কের নতুন দিগন্ত
এ বি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রকৃতপক্ষে কখনও কার্যকর হয়নি। অন্যদিকে, মার্কসবাদী দলের মাসুদ রানা বলেন, পুঁজিবাদী সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন সংবিধান সাধারণ মানুষের ভাষায় লেখা উচিত। মৌলিক অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন।এসব দাবির পেছনে একটি বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা। এর ফলে মুজিব ও হাসিনার ইতিহাস মুছে ফেলার পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফেলা ও পাঠ্যবই থেকে তার অবদান বাদ দেওয়ার বিষয়টি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।