ব্যুরো নিউজ,১৫ নভেম্বর:রাজ্যে বালি ও কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়, তবে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘটনার পর, বিষয়টি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছে, কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় এক অভিনব উপায়ে তদন্তে হাত দেন এবং পুলিশের এক সদস্যকে ‘হাতে নাতে’ ধরেন।
শিয়ালদহ-বনগাঁ রুটে ট্রেন অবরোধে বিপর্যস্ত যাত্রীদের যাত্রা
বালি কেলেঙ্কারি
অভিযোগ, পূর্বস্থলী থানার আইসির গাড়ির চালক স্থানীয় একটি দোকানে বসে বালির লরি থেকে নিয়মিত টাকা তুলে আসতেন। এলাকার মানুষ এই বিষয়ে বিধায়ককে জানান। এরপর, বিধায়ক নিজে হোটেলে গিয়ে চালককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেন। এটি ছিল পুলিশের মধ্যে অনিয়মের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। জানা গেছে, বালির লরি ঢুকতে গেলে গোপাল নামে এক ব্যক্তি আগে ফোনে জানিয়ে দিতেন এবং গাড়ির মালিককে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা দিতে হতো। গোপাল নিজেকে পূর্বস্থলী থানার ডাক মাস্টার হিসেবে পরিচয় দিতেন।
ট্রেনের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু, বারাসতে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ
এখন প্রশ্ন উঠছে, যখন টাকা তোলার অভিযোগে পুলিশেরই সদস্যরা জড়িত, তখন তদন্তের দায়িত্বও কি তাদের হাতেই থাকবে? সাধারণ মানুষের ধারণা, এই ধরনের তদন্তে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা কঠিন।পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি দাবি করেছে, এটি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল, যেখানে সম্ভবত বিধায়কের কাছে বালির টাকার ভাগ না পৌঁছানোই এই কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে।