ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর :নভেম্বর মাসের ঠান্ডা আসতেই শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়ছে। সূর্য ডুবলেই চারপাশে ঠান্ডা অনুভূতি। শীতের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন, বিশেষ করে যখন বাড়িতে প্রবীণ সদস্য থাকেন। তবে এই হিটার ব্যবহার কি আদৌ নিরাপদ? অনেকেই জানেন না, রুম হিটার ব্যবহারের কারণে শরীরের উপর কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই সব ক্ষতির কথা।
ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যে জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা
এই হিটার ব্যবহার কি আদৌ নিরাপদ?
প্রথমেই যে বিষয়টি আসে তা হলো, রুম হিটার চললে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। হিটারের ভিতরে ধাতব এবং সিরামিক উপাদান থাকে যা বিদ্যুৎ দিয়ে তাপ উৎপন্ন করে। এতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। শীতকালেই বাতাস শুষ্ক থাকে, তার উপরে হিটার চালালে তা ত্বকে ফাটল বা খোসপাচ হওয়ার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাবও হতে পারে।
কলা পাতায় খাবার খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে?আপনি কি জানেন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হ্যালোজেন হিটার। এই ধরনের হিটার থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যারা হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের রোগী, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমনকি সাইনাসের সমস্যা থাকলেও রুম হিটার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি একান্তই হিটার ব্যবহার করতে হয়, তবে সাধারণ হিটারের পরিবর্তে অয়েল হিটার ব্যবহার করা ভাল, যা শ্বাসনালীর উপর কম প্রভাব ফেলে।
পিরিয়ড মিস সঠিক ফল পেতে কবে করবেন প্রেগন্যান্সি টেস্ট!জানুন
এছাড়া গ্যাস হিটার ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। এই হিটার থেকে নির্গত হয় কার্বন মোনোঅক্সাইড, যা শিশু, প্রবীণ এবং হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই গ্যাস হিটার ব্যবহার না করাই নিরাপদ।