ব্যুরো নিউজ ৩০ অক্টোবর : আমেরিকা ও রাশিয়ার মহাকাশে একাধিপত্যের যুগ সম্ভবত শেষের পথে। নতুন লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগোচ্ছে অন্যান্য দেশগুলোও। যেমন, ভারতের ইসরো একের পর এক মাইলফলক ছুঁতে ব্যস্ত। আরব দেশগুলিও নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে মহাকাশে। এবার সেই তালিকায় আরেকটি বড় নাম হল চিন। বুধবার ভোর সাড়ে চারটায় চীনের তিনজন মহাকাশচারী একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে মহাকাশে রওনা হন। এই তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা নভোচরও আছেন, যিনি চিনের প্রথম মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার।
এই নিয়ে চতুর্দশ মিশন মহাকাশ অভিযান
স্থানীয় সময় ৪টা ২৭ মিনিটে গানসু প্রদেশের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ-২এফ রকেটের মাধ্যমে সিনঝাউ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মহাকাশযানে ছিলেন ৪৮ বছরের কমান্ডার কাই জুঝে, ৩৪ বছরের সং লিংডং এবং ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে। এদের মধ্যে সং লিংডং এবং ওয়াং হাওজে হলেন চিনের সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারী। চিনের এই মিশনটি চতুর্দশ মহাকাশ অভিযান হিসেবে পরিচিত।চিন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বাইরে নিজের মহাকাশ স্টেশন “তিয়াংগং” স্থাপন করেছে। এই অভিযানে অংশ নেওয়া তিন নভোচর সেই তিয়াংগং স্টেশনে ছয় মাস গবেষণামূলক কাজ করবেন। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল আরেকটি দল এই স্টেশনে পৌঁছেছিল এবং তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা আগামী ৩ নভেম্বর। নতুন দলটি তাদের কাজের দায়িত্ব বুঝে নেবে এবং আগামী এপ্রিল বা মে মাস পর্যন্ত তিয়াংগং স্টেশনে গবেষণা চালাবে।
চিন মহাকাশে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে ধারাবাহিক গবেষণা ও নতুন অভিযানে অগ্রসর হচ্ছে। বুধবারের এই মিশন তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মহাকাশে নিজের অবস্থান মজবুত করার পথে আরও একধাপ এগোল চিন।