ব্যুরো নিউজ ২৯ অক্টোবর : কালীপুজোর ঠিক আগে, বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস স্বপ্নে বড়মাকে দর্শন করেন। এই অভিজ্ঞতার কথা তিনি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, নৈহাটির বড়মা, যিনি তার ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর চেহারা এবং তীব্র চোখের চাহনির জন্য পরিচিত ।যেখানে তিনি লেখেন, “স্বপ্ন দেখলাম বড়মাকে অনেক উঁচুতে উঠে বরণ করছি।” তার এই অভিজ্ঞতা সবার হৃদয়ে ভক্তিরসের সঞ্চার করেছে।
কেন্দ্রের সতর্কতাঃ ডিজিটাল জালিয়াতির নতুন কৌশল
পুজোর নিয়মাবলী
অরিন্দম ভট্টাচার্যের পরিকল্পনায়,মডেল পিয়াই দত্তকে বড়মার রূপ দিতে সুরঞ্জন দাস মেকআপ করেছেন, এবং অলঙ্কার তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চন্দ্রাণী ধামালি। গত বছর নৈহাটির বড়মার পুজোর একশো বছর পূর্ণ হয়েছে। মন্দিরটি নবরূপে সাজানো হয়েছে এবং সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মা কষ্টি পাথরের মূর্তি, যা প্রতিদিন পূজিত হয়।পুজোর সময়, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে ২১ ফুটের মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রতিমা সাজাতে ব্যবহার করা হয় কয়েকশো সোনা ও রূপোর গয়না। বির্সজনের দিন, মায়ের গয়না খুলে তাকে ফুলের সাজে সাজানো হয়। পুজোর সময় অগণিত ভক্তের সমাগমে নৈহাটি শহর গমগম করে ওঠে। বড়মার আরাধনা শেষ হলে শহরের অন্যান্য স্থানে পুজো শুরু হয়।
কালীপুজোর আগে নিষিদ্ধ শব্দবাজি রুখতে কড়া নজরদারি পুলিশ প্রশাসনের
বর্তমানে, ভক্তদের সুবিধার জন্য পুজোর প্রক্রিয়া অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কমিটি। এছাড়াও, সারাবছর পুজো দেখার জন্য মন্দিরের বাইরে বিশাল এলইডি স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, মন থেকে মা’র কাছে কিছু চাওয়া হলে মা কখনও কাউকে ফেরান না। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি প্রবাদ তৈরি হয়েছে, “ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার।”