ব্যুরো নিউজ,২৪ অক্টোবর:রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সামিটের বৈঠকে মুখোমুখি বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। পাঁচ বছর পর মুখোমুখি এই বৈঠকে ভারত ও চীনের মধ্যে যে দ্বৈরথ দীর্ঘদিন চলে আসছে তার অবসান কি ঘটবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রিকস সম্মেলনকে ঘিরে। এই বৈঠকের মাঝখানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ৩ দেশই চায় ভারত-চীন দু দেশ ই আলোচনার পথে চলুক। দুদেশের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হোক, সমস্যার সমাধান হোক। দ্রুত।
শুভেন্দু অধিকারীঃপঙ্কজ দত্তের শারীরিক অবস্থার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
চুক্তি খোলসা করুন মোদি, দাবি কংগ্রেসের
২০১৯ সালের পর ২০২৪ সালে ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। দু পক্ষের মধ্যে একাধিক চুক্তির স্বাক্ষর করলেও তাদের মধ্যে মূল বিষয় হলো ভারত চীন সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা। দুদেশই যাতে আগ্রাসনের পথে না হাটে সেটাই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। কারণ লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোল এর দুপাশেই ফরওয়ার্ড এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত ও চীন। চলছে স্ট্যান্ড অফ। দু পক্ষের কেউই নো ম্যানস ল্যান্ডে টহলদারি করতে দিতে নারাজ। একাধিক কূটনৈতিক ও সামরিক বৈঠকের পর চারটি এলাকা থেকে ভারত ও চীন তাদের সেনা সরালেও এখনো দু তিনটি এলাকা নিয়ে মতভেদ চলছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্কর জানিয়েছেন লাদাখের দেপসং ও ডেমোচে সাড়ে চার বছর দুদেশি স্ট্যান্ড অফ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থির হয়েছে এই দুই জায়গা থেকেই উভয় দেশ সেনা প্রত্যাহার করবে সেই সঙ্গেই দুদেশই টহলদারি শুরু করবে।
এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি ডাক্তার অভীক দে-র বিরুদ্ধে তদন্তে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত
২০২০ সালে বল্বানে সংঘর্ষের পর মোদী এবং সেই জিনপং এর সঙ্গে দুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রথমবার ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় টি টোয়েন্টির বৈঠকে। পরে ২০২৩ সালে আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে আবার তাদের দেখা হয়। কিন্তু তারপর কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তুলেছেন দুদেশ চুক্তিতে আবদ্ধ হলেও কি চুক্তি হলো তা এখনো জানা যায়নি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি পল্বান সংঘর্ষের আগের মতো হবে কি? ফিরবে কি সহাবস্থান ও শান্তির নীতি? এছাড়া দেপসাং ও ডেমোচের তিনটি পয়েন্টে দহলদারি চালাতেই পারতো ভারতীয় সেনা সেই অবস্থাও ফেরানো প্রয়োজন। তাছাড়া প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত দখলদারি কি চলবে নাকি ফিঙ্গার থ্রিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় পশুপালকরা কি আবার তাদের অধিকার ফিরে পাবে। কংগ্রেস সাংসদ মনীষ তিওয়ারি প্রশ্ন করেছেন চীনের সঙ্গে ভারতের সমস্যার সমাধান হলে তা স্বস্তিদায়ক, তবে চুক্তির বিষয়ে কোন দেশই স্পষ্ট করে প্রকাশ করেনি। ভারত সংসদে চীনা আগ্রাসন নিয়ে আলোচনাই করতে চাইনি তাই দেশবাসী জানতে চাই ব্রিকস সম্মেলনে ভারত চীন সীমান্ত নীতি নিয়ে কি চুক্তি হলো? আদৌ শান্তি ফিরবে কিনা। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মিটলেও তা কতদিন স্থায়ী হবে তাও সংশয়ের ঊর্ধ্বে নয়।