বড়মা

ব্যুরো নিউজ, ২২ অক্টোবর :বাংলার অসংখ্য জায়গায় ছড়িয়ে আছে নানান পৌরাণিক কালীপুজোর কাহিনী। কোথাও দেবী কালী স্বপ্নদেশে অধিষ্ঠিত, আবার কোথাও পাথর থেকে আপনা আপনি গড়ে উঠেছে কালী মূর্তি। আর মাত্র কিছুদিন পরেই আলোর উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। বাংলার মধ্যে কিছু প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরের মধ্যে একটি হল নৈহাটির বড়মার কালী মন্দির।

উত্তর কলকাতার জীবন্ত কালীর মন্দির! এখানে মা শ্যামসুন্দরী ছোট মেয়ে রূপে পূজিত

বড়মার কালীপুজো বিশেষ মহিমা

কেন বলুন তো দেবী কালীকে ‘বড়মা’ বলা হয়? নৈহাটির বড় কালী মায়ের উচ্চতা ২১ ফুট। যার জন্য তাকে ‘বড়মা’ নামে ডাকা হয়। তবে, শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর শুরু এতটা আড়ম্বরপূর্ণ ছিল না। জানা যায়, নৈহাটির জুট মিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী একবার তার চার বন্ধুকে নিয়ে নবদ্বীপের রাসমেলা দেখতে যান। সেখানে কালী মূর্তির উচ্চতা দেখে তিনি ঠিক করেন, নৈহাটিতে একটি এমন মূর্তি তৈরি করে পূজা করবেন।

কলকাতা মেট্রোর ৪০ বছরের জন্মদিন উৎযাপন যাত্রার প্রস্তুতি শুরু

তার ইচ্ছা অনুযায়ী, নৈহাটিতে মূর্তি তৈরি করে পুজো শুরু করেন। এরপর থেকে এই পুজোর কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন মা কালীকে দেখার জন্য। তাদের বিশ্বাস, বড়মা কখনও কাউকে খালি হাতে ফেরান না।

উৎসবের দিনগুলোতে দেবীকে সোনা, রূপো ও অন্যান্য ধাতুর অলংকারে সাজানো হয়। পুজোর দিনে প্রায় ১০০ কেজি সোনার অলংকারে সজ্জিত হন বড়মা। এছাড়া, দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয় বড়মার প্রাপ্ত বেনারসি শাড়ি।

শ্রেয়া ঘোষালের প্রতিবাদী সুরঃ কলকাতায় নতুন গানেই উঠে এল আরজি কর কাণ্ড

দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এই পুজোর ঐতিহ্য ও নিয়মাবলীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বড়মার পূজা শুরু না হলে নৈহাটির অন্য কোনও কালীপুজো শুরু হয় না। এভাবেই বড়মার কালীপুজো হয়ে উঠেছে নৈহাটির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর