nihon-hidankyo-nobel-peace-prize-2024

ব্যুরো নিউজ,১২ অক্টোবর:২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও, এই সংগঠন হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলার শিকারে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এই পুরস্কার প্রদান করেছে তাদের পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য এবং পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য।

ব্রাসেলসে দুর্গাপুজো, ‘শিশু মনে তিন রায়’ থিমে বাংলা সংস্কৃতির উদযাপন

পরমাণু বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্ণ

নিহন হিদানকিও প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে, এবং এটি জাপানের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে, বিশেষ করে ১৯৪৫ সালের আগস্টে ঘটে যাওয়া পরমাণু বোমা হামলার মানবিক পরিণতি নিয়ে। হিবাকুশা, অর্থাৎ পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে আন্তর্জাতিক ‘পারমাণবিক ট্যাবু’ গঠনে সহায়তা করেছেন, যা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী নৈতিক অবস্থান তৈরি করেছে।

ঝালদায় নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু

নোবেল কমিটি এই সংগঠনের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করে বলেছে, “তাদের সাক্ষ্য এ ধরনের অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট বেদনাদায়ক দুর্ভোগের একটি অনন্য উপলব্ধি সরবরাহ করেছে।” কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী, হিবাকুশার অভিজ্ঞতা আমাদেরকে অবর্ণনীয় দুঃখের কথা মনে করিয়ে দেয়, এবং যদিও বোমা হামলার প্রায় ৮০ বছর হয়ে গেছে, তবুও পারমাণবিক অস্ত্র বিশ্বব্যাপী হুমকি হয়ে রয়েছে।বর্তমান সময়ে, রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এবং গাজায় সহিংসতা বেড়েছে, যেখানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৪২,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে পারমাণবিক অস্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র।২০২৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্ণ হবে। ওই হামলায় প্রায় ১২০,০০০ মানুষ তৎক্ষণাত নিহত হয়েছিল, এবং পরবর্তী বছরগুলোতে আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে বা তেজস্ক্রিয়তার ফলে মারা যান।নিহন হিদানকিওর নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি সেইসব বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্মান জানায়, যারা শারীরিক কষ্ট ও দুঃখজনক স্মৃতি সত্ত্বেও শান্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর