ব্যুরো নিউজ,২ অক্টোবর:হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুরে মঙ্গলবার দুপুরে এক বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে ছোবল খেয়ে মৃত্যু হল ৪১ বছর বয়সী পরিবেশকর্মী ও বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রজিৎ আদকের। ইন্দ্রজিৎ হাওড়ার দেউলপুরের বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি প্রায় দুই দশক ধরে পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে কাজ করে আসছিলেন।
চন্দ্রভাগা নদী ও আর এস পুরাঃ কৃষির চিত্র ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
দেড় ঘণ্টা তিনি হাসপাতালে যাননি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে খসমারা বাজারে একটি বিষধর গোখরো সাপকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাপটির ছোবল খান ইন্দ্রজিৎ। সকাল ১১টা নাগাদ ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি হাসপাতালে যাননি। অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক—তুহিন ঘোষ, শুভজিৎ মাইতি এবং অন্যান্যরা—তাঁকে গাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ১০ ভায়াল এভিএস (প্রতিষেধক) দেওয়ার পরে তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, উলুবেড়িয়া হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু ঘটে।ইন্দ্রজিৎ ছিলেন একজন পেশাদার ফিজিওথেরাপিস্ট, কিন্তু তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা ছিল পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণের জন্য। হাওড়া জেলায় যেকোনো বাড়িতে বিষধর সাপ দেখা গেলে প্রথমেই তার ডাক পড়ত। রাজ্যের সর্পপ্রেমী এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারীদের মধ্যে তিনি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও, হাওড়া জেলার বাঘরোল, বনবিড়াল এবং সজারু সংরক্ষণের জন্য তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ইসলামাবাদে এসসিও বৈঠকঃবার্তা রাজনাথ সিংহের
ইন্দ্রজিতের মৃত্যুতে পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় কর্মরতাদের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু প্রশ্নও উঠেছে—অসতর্কতা এবং অবহেলা কি তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল? এর ফলে কি আরও সাবধানতা নেওয়ার প্রয়োজন? সবার নজর এখন এই বিষয়ে।এমন পরিস্থিতিতে, ইন্দ্রজিতের মতো পরিবেশ কর্মীদের সাহস ও নিষ্ঠা আমাদের সকলের জন্য উদাহরণ।