ব্যুরো নিউজ ১ সেপ্টেম্বর: এক মহিলা একটি অ্যাপ ক্যাবের চালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। এই ঘটনায় কর্ণাটক হাই কোর্ট ওই ক্যাব সংস্থাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া মামলার খরচ হিসেবে ৫০ হাজার টাকাও দিতে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, অনলাইন ক্যাব সংস্থার অভ্যন্তরীণ অভিযোগ গ্রহণ কমিটিকে পশ আইন ২০১৩ অনুযায়ী যথাযথ অনুসন্ধান করতে হবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
সিবিআইয়ের নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ঃ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পরিকল্পনা
ক্যাব সংস্থাগুলোর চালকদের নজর রাখার দাবি
এই ঘটনার পটভূমি ২০১৯ সালের। অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন, তিনি একটি অ্যাপ ক্যাব ডেকে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি যৌন হেনস্তার শিকার হন। ঘটনার পর, তিনি সেই ক্যাব সংস্থার কাছে অভিযোগ জানিয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্তের আবেদন করেন। কিন্তু, অভিযোগের পরও ক্যাব সংস্থা তদন্ত করতে রাজি হয়নি। এই কারণে মহিলা হাইকোর্টের স্মরণাপন্ন হন এবং আদালতের কাছে আবেদন করেন যাতে ওই অ্যাপ সংস্থাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।মহিলার আবেদন ছিল যে আদালত নিশ্চিত করবে, সংস্থাটি পশ আইন মেনে চলে কিনা। এর জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। মামলাটি বিচারপতি এমজিএস কামালের একক বেঞ্চে ওঠে। সেখানে অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেছিলেন, চালক যেহেতু ওই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত, তাই বিষয়টি তাদেরই দেখা উচিত।
এনআইএ-র তল্লাশিঃ মাওবাদী যোগের অভিযোগে দুই নারীর বিরুদ্ধে তদন্ত
এই মামলাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, ক্যাব সংস্থাগুলোকে তাদের চালকদের উপর নজরদারি করতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। যৌন হেনস্তা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে মহিলারা যে কতটা বিপদে পড়তে পারেন, তা বোঝা যাচ্ছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে মহিলাদের জন্য একটি নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে, যা আগামীতে সুরক্ষা ও ন্যায়ের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।