kolkata-tram-future-hope-and-struggle

ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:কলকাতার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সম্প্রতি ট্রামের ‘বিদায়ঘণ্টা’ নিয়ে পরিষ্কার বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ট্রামের নিত্যযাত্রী ও ট্রামপ্রেমীরা এখনও আশা ছাড়েননি। শহরের রাজপথে ট্রামের চলাচল স্থায়ীভাবে থাকবে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার রায়ই এখন ট্রামপ্রেমীদের আশা ও ভরসার কেন্দ্রে।

হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুঃ ইসরায়েলের দাবি ও প্রতিক্রিয়া

‘সেভ হেরিটেজ, সেভ ট্রাম’

বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর সামনে ‘সেভ হেরিটেজ, সেভ ট্রাম’ স্লোগান নিয়ে জমায়েত হন ট্রাম যাত্রীরা। তাদের মতে, “তিলোত্তমা নগরীতে ট্রাম বাঁচানোর লড়াই চলছে।” যদিও অনেকের অভিযোগ, ট্রামের গতি খুব ধীর, তাই শুধুমাত্র বয়স্করা এটি পছন্দ করেন। কিন্তু ওই দিনের জমায়েতে প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।কৌশিক দাস ও আরণ্যক চট্টোপাধ্যায় নামে দুই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এই জমায়েতের উদ্যোক্তা। তারা বলেন, “ট্রাম বন্ধ করে দেওয়াটা সমাধান নয়। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে ট্রামকে আরও অত্যাধুনিক করা যায়। ধর্মতলা-খিদিরপুর রুটে ট্রাম নামমাত্র ‘হেরিটেজ রুট’ হয়ে থাকুক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই বর্তমানে যে রুটগুলোতে ট্রাম চলছে, সেখানেই তা চালিয়ে যেতে হবে এবং নতুন রুট খুঁজতে হবে।”ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেবাশিস ভট্টাচার্য জানান, “শহরের রাস্তায় ট্রাম চলবে কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। বিষয়টি এখন বিচারাধীন। ট্রাম শুধু শহরের ঐতিহ্যই নয়, এটি নস্ট্যালজিয়াও। আমরা আশা করছি হাইকোর্ট কলকাতার এই ভালোবাসার জায়গাটা রক্ষা করবে।”

জলপাইগুড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু পরিবারের চার জনের 

প্রখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ট্রামের জন্য যদি ট্র্যাফিকের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে নিউ টাউনের মতো ফাঁকা জায়গায় ট্রাম চালানো যেতে পারে।” চিকিৎসক দেবাশিস বসু জানান, “বিশ্বের নানা শহরে ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার পর আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কলকাতার নামও সেই তালিকায় আসবে।”ট্রাম টিকে থাকুক, এই দাবিতে আন্দোলন চলছে, এবং ট্রামপ্রেমীদের আশা, শেষ পর্যন্ত তারা জয়ী হবেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর