tragic-death-electrocution-family-jalpaiguri

ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর :জলপাইগুড়ির টাকিমারি এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একসঙ্গে চার জনের মৃত্যু ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়ি বস্তিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরেশ দাস , দীপালি দাস , মিঠুন দাস এবং দুই বছর বয়সী সুমন দাস।

‘আমরা বিচার চাই’—লগ্নজিতার নতুন উদ্যোগ

বৃষ্টির জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠুন দাস বিকেলে মাঠ থেকে গরুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির গেটে সামনে কয়েকদিনের বৃষ্টির জল পড়ে ছিল আর তা পেড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলের বিপদের কথা শুনে পরেশবাবু তৎক্ষণাত ছুটে যান। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। এই পরিস্থিতি দেখার পর দীপালি, নাতি সুমনকে কোলে নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

আরজি কর কাণ্ড:কাকু কি ফেঁসে গিয়ে সব অস্বীকার করছেন?

এক প্রতিবেশী ঘটনাটি টের পেয়ে দেখেন যে, জমে থাকা জলের মধ্যে বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তার পড়ে রয়েছে। তিনি বাঁশ নিয়ে সেই তার সরাতে গেলে আহত হন। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।

রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, ওই পরিবারের বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা অবৈধভাবে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিলেন। ঝড়বৃষ্টির কারণে হুকিংয়ের তার ছিঁড়ে গিয়ে জমে থাকা জলের ওপর পড়ায় এই বিপর্যয় ঘটে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তরের ডিরেক্টর সুমিত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘দুর্ঘটনার সঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনো সম্পর্ক নেই’।

দিল্লির দূষণ নিয়ে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

এলাকার বাসিন্দা উত্তম রায় বলেন, ‘এমন একটি ঘটনায় আমরা শোকাহত। একই পরিবারের চার জনের একসঙ্গে মৃত্যু মর্মান্তিক’।এই ঘটনা এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর