quad-meeting-china-expansionism-discussion

ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত আধিপত্য নির্মূল করার লক্ষ্যে চার দেশের অক্ষ কোয়াড বৈঠকে কোন দেশের একাধিপত্য বা দাদগিরির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে নাম না করলেও তার লক্ষ্য ছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সম্প্রসারণ নীতি। মোদী তার বক্তৃতায় জানান, ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার এই অক্ষ ‘কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে’ নয়,বরং ‘ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিনষ্ট, সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা এবং সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে’ একজোট হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ,দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা

গোটা বিশ্ব  পরস্পর বিবাদে লিপ্ত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার শহরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চিন এবং তার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্প্রসারণবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং একটি সম্ভাব্য কৌশলও তৈরি করা হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথায় উঠে এসেছে, “শি জিনপিং নিজের দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং সেই কারণে কূটনৈতিক উপায় খুঁজছেন নিজেদের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।” বাইডেন আরও জানান, চিন মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা এমন এক সময় বৈঠকে বসেছি যখন গোটা বিশ্ব  পরস্পর বিবাদে লিপ্ত। এই সময় মানবিকতার খাতিরে কোয়াডভুক্ত সমস্ত সদস্যের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জরুরি।” তিনি আইনের শাসন মেনে চলা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাত নিরসনে আমাদের বিশ্বাস আছে। সকলকে নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলা আমাদের অগ্রাধিকার।”কোয়াড বৈঠকে মোদী এবং বাইডেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ। বাইডেন তার বক্তৃতায় বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক দেশগুলি জানে কীভাবে কাজ করতে হয়। প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণের পর থেকেই আমি কোয়াডকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছি।”

পিভি সিন্ধুর নতুন কোচ,ভাগ্য বদলানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু

বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে চিনকে লক্ষ্য করে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক আইনকে মেনে চলার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত সনদে যা প্রতিফলিত হয়েছে, আমাদের সমর্থন বিশেষভাবে তার উপর।” এটি স্পষ্ট যে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সুরক্ষা এবং স্থায়ী উন্নয়ন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলবে।কোয়াডের এই সর্বসম্মত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।  ভবিষ্যতে চীনের সাথে সম্পর্কিত কৌশলগত পরিস্থিতিতে নতুন মোড় আনতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর