ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখব।’ তার এই মন্তব্যের ফলে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে শাহের মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে।
মাঝ আকাশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্মুখীন হন পাইলট, জরুরি অবস্থা কলকাতা বিমানবন্দরে
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন চলতি বছরেই
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন চলতি বছরেই হওয়ার কথা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে। গত শুক্রবার, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের আস্কারা দিয়ে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি আপনাদের ঝাড়খণ্ডে সরকার পরিবর্তন করেন, তাহলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিজেপির সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে খুঁজে বের করবে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে উলটো করে ঝুলিয়ে সোজা করবে।’বাংলাদেশ সরকারের তরফে এ ধরনের মন্তব্যকে মোটেও ভালভাবে নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের বাংলাদেশকে নিয়ে এমন মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর। তারা সোজাসুজি দাবি করেছে, ভারত সরকারের উচিত এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক করা।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মমতাশঙ্কর
এদিকে, ভারতীয় মাটিতে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই অভিযোগ সর্বাধিক শোনা যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার এই বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে অমিত শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর বাংলাদেশের সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে।অর্থাৎ, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার মনোভাব ক্ষুণ্ন হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা আরও জোরদার হতে পারে, যা ভবিষ্যতে সম্পর্কের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।