ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:অনুব্রত মণ্ডল,যার প্রায় দুই বছর পরে ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার প্রিয় জেলা বীরভূমে। এতদিন তিনি কাটিয়েছেন তিহাড় জেলে। বীরভূমে তার প্রভাব এতটাই ছিল যে, তার নির্দেশে একটা গাছের পাতাও নড়ত না। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরে এবার তার বীরভূমে ফেরা নিয়ে সকলের মনে কৌতুহল।কারণ তিনি জামিন পেয়েছেন লেয়ার কোর্টে। এক্ষেত্রে ইডি যদি সুপ্রিম কোর্টে চলে যায় তবে এই জামিনের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হতে পারে তা এখনো সকলের অজানা। প্রসঙ্গত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এইভাবে লোয়ার কোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। ইডি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াতে সেই জামিন খারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ইডি সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এবং তার ওপর নির্ভর করছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ফেরার বিষয়টি।
দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য জন্য একগুচ্ছ প্রস্তুতি নিল রেলওর
ইতিমধ্যে সিউড়িতে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে গেছে
যদিও ইতিমধ্যে সিউড়িতে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে গেছে, এবং বীরভূমের নানা জায়গায় আবীর খেলা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।তবে জামিন পাওয়ার সাথে সাথে আদালত কিছু শর্ত আরোপ করেছে। অনুব্রতকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারবেন না। তার দিল্লি ও বীরভূমে থাকার ঠিকানা আদালতকে জানাতে হবে।২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি, পরে ১৬ নভেম্বর ইডি ও তাকে গ্রেফতার করে। তখন তাকে বীরভূমের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছিল। এখন সিবিআই ও ইডির মামলায় জামিন পেয়ে তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
ডাক্তার দেবাশিস হালদার এক প্রতিবাদের প্রতীক
এদিকে, অনুব্রতর মুক্তি রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, তিনি ফিরে এলে আবারও সভাপতি হিসেবে ফিরে আসবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি বিরোধীদের চমকাতে ফিরে আসবেন? পুরো বাংলা তাকিয়ে আছে তার দিকে।এর আগে অনুব্রতর কন্যাও জামিন পেয়েছিলেন। তার কন্যার মুক্তির খবর বীরভূমে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছিল। নানুরের আটকুলা এলাকায় সেখানে পাত পেড়ে রাতে মাংস-ভাত খাওয়ার আয়োজন হয়েছিল।অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আব্দুল কেরিম খানও এই জামিনের খবর শুনে খুশি। তিনি জানান, অনুব্রত জেলে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের রাজনীতিতে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। কন্যার জামিনের পর তিনি ভুরি ভোজের আয়োজন করেছেন।এখন সবার নজর অনুব্রত মণ্ডলের ওপর। দেখার বিষয়, তিনি কীভাবে আবার তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন বীরভূমে।