ব্যুরো নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর :রাজপথে প্রতিবাদের উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবাদের ছবি রাজপথে দৃশ্যমান, তবে পুজোর আনন্দে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে চাওয়া যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেলও কিছু বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডাক্তার দেবাশিস হালদার এক প্রতিবাদের প্রতীক
সিদ্ধান্ত রেলের
রেলের উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে “May I Help You” বুথ খুলার কথা ভেবেছে। এই বুথগুলি শিয়ালদহ, কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনে স্থাপন করা হবে। যেখানে থানা, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেডসহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার ফোন নম্বর রাখা থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর এবং বনগাঁর মতো জায়গায় আরপিএফ মোতায়েন করা হবে।
পুজোর সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ৫টি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে—শিয়ালদহ মেইন লাইনে ৪টি ও শিয়ালদহ দক্ষিণে ১টি। কাউন্টারগুলিতে অতিরিক্ত বুকিং ক্লার্কও রাখা হবে। একই সঙ্গে, শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে নজরে রাখা হবে।
কর্মবিরতি আংশিক তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, নতুন আশার আলো
যাত্রীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পানীয় জল এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, বিসর্জনের সময় সার্কুলার রেলওয়েতে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এছাড়াও, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা যাত্রীদের দিকনির্দেশনায় নিয়োজিত থাকবেন।
শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি এবং বারাসতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। অসুস্থ যাত্রীদের জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ উপস্থিত থাকবেন। অন্যান্য স্টেশনগুলোতেও ফার্স্ট এইড বক্স, স্বাস্থ্য ইউনিট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
নদিয়ার রানাঘাটে ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা অনুমতির জন্য আদালতের দ্বারস্থ উদ্যোক্তারা
এছাড়া, রেললাইনের পাশে প্যান্ডেলে আরপিএফ মোতায়েন করা হবে এবং গ্যালোপিং ট্রেনগুলো সকল স্টেশনে থামবে। এইসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রেলও এই পুজোর মৌসুমে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।