ব্যুরো নিউজ, ২০সেপ্টেম্বর :কলকাতার দূষণ লাফিয়ে বাড়ছে, যা নিয়ন্ত্রণে নিতে এবার কলকাতা পুরসভা বাড়তি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শহরের বাতাসে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি বাড়ছে, যার প্রধান কারণ হিসেবে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং গাড়ির সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি চিহ্নিত করেছে পুরসভা।
২৫ বছরে বলিউডে প্রতিকূলতা ও সাফল্যের গল্পে সফর কারিনার
রোপণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে কেন পুরসভা ?
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহরে বিপুল সংখ্যক গাছ উপড়ে গেছে, যার ফলে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থার মোকাবিলায়, বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে কিছু বিশেষ গাছের প্রজাতি রোপণ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা, যা অন্যান্য গাছের তুলনায় বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করবে এবং বাতাসে অধিক অক্সিজেন ছড়াবে।
কানাডার নতুন অভিবাসন নীতিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর ঘোষণা
পুরসভার উদ্যান বিভাগের উদ্ভিদবিদরা নির্দিষ্ট কিছু গাছের প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন, যেগুলি শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে এবং পুরসভার অধীনে থাকা উদ্যানে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। নিম, সেগুন, ইউক্যালিপটাস, সিলভার ওক, বাঁদর লাঠি, রবার ও চন্দনের মতো গাছগুলো বেশি সংখ্যায় লাগানো হচ্ছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি জানিয়েছেন, নতুন গাছগুলি এমনভাবে নির্বাচিত হচ্ছে যাতে তাদের শিকড়ের মাটির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ থাকে। এর ফলে, ঝড়ের সময় গাছ উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। অতএব, দুর্বল গাছ যেমন কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া রোপণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে পুরসভা।
মোহনবাগানের হতাশার ম্যাচ সুযোগের অপচয়
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা এমন গাছ লাগানোর চেষ্টা করছি যা বাতাসকে তাজা রাখতে সাহায্য করবে এবং ঝড়েও উপড়ে যাবে না। এভাবে কলকাতার দূষণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি’। আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শহরের পরিবেশের উন্নতি হবে এবং বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে।