ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর :পুজো আর মাএ ৩০ দিন বাকি। এর মধ্যে কেনাকাটা করা শুরু হয়ে গেছে অনেকেরই। পুজোর এই ৫-৬ দিন ছুটিতে মন চায় হাত দুটো আকাশে মেলে দিতে। কিন্তু এখনো ঠিক করে উঠতে পারছেন না যে কোথায় যাবেন? তাহলে এবার পুজোতে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ের কোলে এক অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে। যেখানে গেলে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনারকে শান্তি দেবে।
পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তা হলে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা
কি ভাবে যাবেন এই কনকচৌরি ?
কনকচৌরি যাত্রা শুরু হয় দুটি পথ দিয়ে। প্রথম পথটি হল কেদারনাথ ধামের দিকে হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ হয়ে রুদ্রপ্রয়াগ, মোট ১৬০ কিলোমিটার। এরপর ৪০ কিলোমিটার দূরে কনকচৌরি। দ্বিতীয় পথটি হল বদ্রীনাথ থেকে কর্ণপ্রয়াগ হয়ে পোখরি। আমরা বেছে নিলাম দ্বিতীয় পথটি। কর্ণপ্রয়াগ পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল, তবে পোখরি যাবার রাস্তার দৃশ্য অসাধারণ। দুই পাশে ঘন জঙ্গল এবং বাঁকানো রাস্তা আমাদের যাত্রাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়।
এইবার পুজোতে ঘুরে আসুন পাহাড়ের কোলে কালিম্পঙের লুংসেলে
রাতের অন্ধকারে আমরা কনকচৌরিতে বেশ সুন্দুর। পাহাড়ি গ্রামে শীতের প্রবল দাপট।পরদিন হাঁটে পৌঁছাতে হবে কার্তিকস্বামী মন্দিরে, যা গাড়োয়াল হিমালয়ের চূড়ায় অবস্থিত একমাত্র কার্তিকের মন্দির। এখানে প্রতি কার্তিক চতুর্থীতে মা পার্বতী পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। স্থানীয় মানুষের ভিড়ও মন্দিরে দেখা যায়, বিশেষত পূণ্যরাত্রি উদ্যাপনের জন্য।
মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগবে।পথটি চড়াই এবং নীচু পাথুরে। বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে থাকায় চলা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে কিছু বিশ্রামের জায়গা আছে ওখানে। সাড়ে তিন কিলোমিটার পেরিয়ে মন্দিরের কাছে পৌঁছে যাবেন। এরপর সিঁড়ি ভাঙে উঠতে হবে —প্রথমে ৪০০ সিঁড়ি, তারপর ৯২টি।
পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন কালিম্পং ডুকা ভ্যালি
কার্তিকস্বামী মন্দিরে প্রবেশ করে দেখা গেল, পর্যটকদের ভিড় এখনও সে ভাবে নেই। শান্ত, নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন আমাদেরকে শান্তি দেবে। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল, এবং পাহাড়ের মাথায় সূর্যোদয়ের দৃশ্য আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলবে। আশেপাশে সবুজ পরিবেশ, শুভ্র হিমালয় এবং সোনালি রোদের আলোয় কেদারনাথ শৃঙ্গ জ্বলজ্বল করছে দেখতে পাবেন। এই অপূর্ব দৃশ্য আমাদের মনে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে,মনে হবে যেন আপনি স্বর্গের কোলে দাঁড়িয়ে আছেন।