rain full howarh flower market lose

ব্যুরো নিউজ,১৬ সেপ্টেম্বর :আগামীকাল, মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে ফুলের চাহিদা বাড়বে। তবে, পুজোর এই মরসুমে ফুলের ব্যবসা নিয়ে চিন্তিত ফুলচাষিরা। সাম্প্রতিক নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার ফলে তাদের ফুলের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সাধারণত এ সময় ফুলচাষিরা ফুলের ভালো দাম আশা করেন, কিন্তু এই পরিস্থিতি তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুলচাষিরা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে প্রবল গরমের সময় ফুলের বাজারে দাম বেশ ভালো ছিল। স্বাধীনতা দিবসে এক কুড়ি মালা ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এবং গাঁদা ফুলের একটি মালা ৩০-৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু এখন বৃষ্টির কারণে ফুলের দাম কমে গিয়ে এক মালা গাঁদা ফুল মাত্র ৩-৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে নতুন মোড়: সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন ইন্দিরা জয় সিংহ

পুজো মরসুমে চাষিদের মাথাব্যথা

জুনিয়র ডাক্তারদের দৃঢ় ঘোষণা: ‘আন্দোলন চলবেই’

পোলেরহাট গ্রামের ফুলচাষি কিসমত মোল্লা বলেন, ‘ফুলের মালা গাঁথতে ১ টাকা মজুরি লাগে। এত কম দামে বিক্রি হলে খরচও উঠবে কি না বুঝতে পারছি না’। ভাঙড়ের চিলেতলা গ্রামের চাষি শ্রীদাম মণ্ডল জানান, ‘বৃষ্টির কারণে ফুলের পাপড়িতে দাগ পড়ছে এবং ফুল পচন ধরছে। লক্ষ্মীপুজোর আগে ফুলের ভালো দাম আশা ছিল, কিন্তু এখন বৃষ্টি সব কিছু নষ্ট করে দিচ্ছে’।

জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি: মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়, যার মধ্যে ৭০০-৮০০ হেক্টর জমিতে গাঁদা চাষ হয়। ভাঙড়, পোলেরহাট, সাতুলিয়া, চিলেতলা প্রভৃতি এলাকার ফুল বাজারে বিক্রি হয়। তবে, টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ফুলের গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে, জল জমে ফুল পচছে। জেলা হর্টিকালচার দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, মাঠে ফুল ফুটে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের কুঁড়ি থাকা অবস্থায় ফুল গাছ থেকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং জল দ্রুত বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও রিপোর্ট পাইনি, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর