resignation-rajya-sabha-johor-sarkar

ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রবিবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করার পর, বৃহস্পতিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। দিল্লিতে ধনখড়ের অফিসে উপস্থিত হয়ে জহর সরাসরি পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন।জহরের পদত্যাগের পর রাজ্যসভার উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে গিয়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে এখন একটি আসন ফাঁকা হয়ে গেল। তৃণমূলের ১২ জন সাংসদ ছাড়াও রাজ্য থেকে বিজেপির দুই এবং বামদের একজন রাজ্যসভা সাংসদ এখনও রয়েছেন।

সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যু: ভারতের রাজনীতির এক যুগের অবসান

জহর সরকারের পদত্যাগের পেছনে মূল কারণ হিসেবে আরজি কর-কাণ্ডের বিষয়ে দলের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। গত রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, “মাননীয়া মহোদয়া, রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখছি, তার মূল কারণ হল কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা ও তাদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমি আগে কখনও এত ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা দেখিনি।”

মেয়েদের ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত,এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জয় শাহর

আরজি কর-কাণ্ডের পর মমতা অভিযোগ করেছিলেন আরজি কর আন্দোলনটি বাম-বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে। সেই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জহর সরকারের  চিঠিতে বলেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া মানুষজন অরাজনৈতিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না। এই মানুষরা শুধু বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন, রাজনীতি নয়।”

২০২২ সালে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরবর্তী সময়ে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর জহর সরকার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি দলের অস্বচ্ছতা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবেরা তাকে রাজনীতি ছাড়তে বলেছে।এই ঘটনা তৃণমূলের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং রাজ্যসভায় দলের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর