ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর :পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবার নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বৃষ্টির পরিমাণ ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
হিনা খানের নতুন চ্যালেঞ্জ: কেমোথেরাপির পর মিউকোসাইটিসের ধাক্কা
কোথায় কোথায় সতর্কতা?
“মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের হুমকি: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে নতুন মোড়”
শুক্রবারের বৃষ্টির সাথে সাথে শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম এলাকায় বৃষ্টির প্রবণতা রবিবার পর্যন্ত চলতে পারে।কলকাতার তাপমাত্রার কথা বললে, শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৯ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম।
দুর্নীতির নতুন দিক: সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলো হাজারো উত্তরপত্র!
হাওয়া অফিসের মতে, পূর্ব-মধ্য মায়ানমারের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণাবর্তের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বাংলাদেশ উপকূলে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে, যা ধীরে ধীরে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে এসে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে, যা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই সময়ের মধ্যে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।