image

ব্যুরো নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর:রাজ্য সরকারের পাঠানো মেলকে ‘অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা দাবি করেছেন, এই মেলের ভাষা এবং সম্বোধন তাঁদের জন্য যথেষ্ট অসম্মানজনক। আন্দোলনকারীরা, যারা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছেন, বলছেন যে রাজ্য সরকারের পাঠানো মেল তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে মেলে শুধু ‘রেসপেক্টেড স্যার’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে, যা তাদের অবমূল্যায়িত করার মতো এবং ‘স্যার’ শব্দের পাশাপাশি ‘ম্যাডাম’ শব্দটিও ব্যবহার করা উচিত ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে সরকারি মেল যদি শুধুমাত্র ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে, তবে তারা সেই মেলকে গুরুত্ব দেবেন না।

জেনে নিনি, বিনামূল্যে আধার আপডেটের শেষ তারিখটি কবে?

স্বাস্থ্যসচিবের ইস্তফার দাবি

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মতে, রাজ্য সরকারের মেলের ভাষা ছাড়া আরও কিছু বিষয় রয়েছে যা তাঁদের নবান্নে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া সত্ত্বেও, নবান্নের মেল আইডি থেকে কোনও বার্তা পাঠানো হয়নি। বরং, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ইমেল আইডি থেকে বার্তা পাঠানো হয়। যে স্বাস্থ্যসচিবের ইস্তফার দাবিতে তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনে আন্দোলন করছেন, তার পক্ষ থেকে এমন বার্তা পাঠানোকে তাঁরা অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে করছেন।এই বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল আইডি থেকে বার্তা পাঠানো অত্যন্ত নীচুতলার প্রক্রিয়া। যদি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের (যেমন মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্ন) তরফ থেকে মেল করা হয়, তবে আমরা সেটি বিবেচনা করে দেখব।’’ এর ফলে, তাঁরা নবান্নের সংলাপে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আলোচনার জন্য দরজা খোলা রেখেছেন।

চাঁদে কি মানুষ থাকা সম্ভব? কি বলছেন চিনা বিজ্ঞানিরা?

অন্যদিকে, নবান্ন দাবি করেছে যে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল আইডি থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবুও, জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেলে প্রতিনিধির সংখ্যা ১০ জনে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে, যা তাঁদের কাছে অপমানজনক বলে মনে হয়েছে।জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের মেলের ভাষা দেখে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে রাজ্য সরকার তাঁদের প্রতি সদর্থক বার্তা দিতে ইচ্ছুক নয়। এই কারণে, তাঁরা মঙ্গলবার নবান্নে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। তবে, তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছেন যদি পরিস্থিতি উপযুক্ত হয়।

এই প্রতিবাদী অবস্থান ও মেলের ভাষা নিয়ে অসন্তোষ, রাজ্য সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সম্পর্কের আরও এক দিককে সামনে এনেছে। এটি একটি বৃহত্তর প্রসঙ্গ হিসেবে দেখতে হবে যে কিভাবে সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করা যায় যাতে সব পক্ষের সম্মান বজায় থাকে এবং সমস্যার সমাধান কার্যকরভাবে করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর