ব্যুরো নিউজ,৮ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্য উত্তাল তার সাথে উত্তাল রাজনীতিও। এরই মধ্যে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জহর সরকার। তৃণমূলের সাংসদ পথ ছাড়ার বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একটি চিঠিও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে এর আগে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। কিন্তু এই প্রথম শাসকদলের কোন সাংসদ তার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন ।
আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সারা রাজ্য দখলের ডাক শোভনের
মর্মাহত জহর কি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে?
তার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি থেকেও সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জহর সরকার। জহর সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন “আমি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি ,আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।”দু’বছর আগেও রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে যখন অপদস্ত হচ্ছিল শাসক দল তৃণমূল , সেই সময়ও জহর সরকার মুখ খুলেছিলেন। সেই দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেওয়া চিঠিতে টেনে এনেছেন । লিখেছেন “মাননীয়া মহোদয়া বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশি শক্তির আস্ফালন।আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনো দেখিনি।”
মাঝ আকাশে বিকল হয়ে পড়ে বিমানের ইঞ্জিন জরুরি অবতরণ কলকাতা বিমানবন্দরে
আরজি কর আন্দোলনের শুরুতে মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছিলেন যে বাম এবং বিজেপি মিলে রাজনীতি করছে এই বিষয়টিকে নিয়ে , ফলে তৃণমূলের নেতারাও সেই দাবীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে জহর সরকার এ ধরনের কথার তীব্র নিন্দা করেছেন। জহর সরকার লিখেছেন “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না । এরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না ।শুধু এক বাক্য বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।”