ব্যুরো নিউজ,২ সেপ্টেম্বর: বেঙ্গালুরুগামী বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়েছিল ১৭৪ জন যাত্রী নিয়ে। ওড়ার কিছু পরেই ইঞ্জিনে বিপত্তি দেখা যায়। বিমানের দুটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি ইঞ্জিন হঠাৎ করে মাঝ আকাশে বন্ধ হয়ে যায়। বিমানের পাইলট পরিস্থিতির কথা কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসিকে জানান। সাথে সাথে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এরপর ১৭৪ জন যাত্রীসহ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরী অবতরণ করান পাইলট।
আর জি কর কাণ্ড : প্রতিবাদী ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি
বিমানের মধ্যে যাত্রীদের কি অবস্থা?
শুক্রবার রাত দশটার কিছু পরে ইন্ডিগোর 6 E 0573 বিমানটি কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। বিমান ওড়ার কিছুক্ষণ পরে ইঞ্জিনে গন্ডগোল দেখা যায় । আচমকা বন্ধ হয়ে যায় দুটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি ইঞ্জিন। বিমানে যাত্রীদের একাংশের দাবী ,যে আকাশে ওড়ার কিছু পরে বিকট আওয়াজ তারা শুনতে পান। কেউ কেউ বলেছেন তীব্র শব্দের সাথে আগুনের শিখাও দেখতে পান। বিমানের মধ্যে যাত্রীরা রীতিমতো ভয় পেয়ে যান।পরিস্থিতি সাম্লানর জন্য পাইলট এবং বিমান কর্মীরা বিমানের ভেতরে থাকা যাত্রীদের শান্ত থাকার কথা জানান। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন বিমানে আগুন লাগার কোন ঘটনা ঘটেনি।
শিল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর ইন্ডিগোর অই এয়ারবাসটির বাঁ দিকের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। রাত ১০:৩৬ মিনিট নাগাদ ওই বিমানের পাইলট আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চান। তারপরে দশটা উনচল্লিশ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ।তার দশ মিনিটের মধ্যেই অর্থাৎ রাত ১০ টা বেজে ৪৯ মিনিট নাগাদ দুটি রানওয়ে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দেওয়া হয় ।তারপর বিমানটি ১০:৫৩ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। বিমান থেকে যাত্রীদের নিরাপদেজাত্রিদেরানা হয় ।তারপর শুরু হয় বিমানের ইঞ্জিন গুলোর মেরামতি কাজ। রাত ২ঃ ১৭ মিনিট নাগাদ আবার যাত্রী নিয়ে উড়ান টি ওড়ার প্রস্তুতি নেয়।অবশেষে বিমানটি ১৬১ জন যাত্রীকে নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। বাকি ১৩ জন যাত্রী বেশি রাতের বিমানে সফর করতে চাননি বলে জানা গিয়েছে।