ব্যুরো নিউজ,১৮ আগস্ট:আরজি কর কাণ্ডে এবার হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারের দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি আরজি কর কাণ্ডে এই গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন। ১৪ তারিখ রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে সরাসরি গিয়ে যোগ না দিলেও নিজেই ধরনায় বসেছিলেন।
RG Kar case:বাম-রাম জোটের তত্ত্ব মমতার!তবে একাধিক ‘তৃণমূলের ছেলে’পুলিশের জালে
সোশ্যাল মিডিয়ায় কি লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ?
RG Kar case:মেয়েকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কারা জড়িত..সিবিআইকে যা বলেছেন মৃতার বাবা
আরজিকর হাসপাতালে গত ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়। তারপর থেকেই সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদে নেমেছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেস ঘুরিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে, এই আন্দোলনের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে। আর এরকম একটা সময়েই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল এবং পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক। কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল, সেটা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হলো, কারা এই সঞ্জয়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কেন তিনদিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল? একাধিক প্রশ্ন তুলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
RG Kar case:মুখ খুললেই ট্রান্সফার?একধাক্কায় ৪৩ চিকিৎসক বদলির নির্দেশ, মমতার নিন্দায় সরব সংগঠন
শুধু তাই নয়, নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন, এই ক্ষেত্রে আইনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন। শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় আইন আনার পক্ষে এই সংক্রান্ত বিল আনার দাবি করেন তিনি। বাস, ট্রাম থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সুখেন্দুশেখর। সিসিটিভি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো, দেশের প্রতিটি জেলায় Fast track আদালত গঠন করে ধর্ষণ করে খুনের মত অভিযোগ নিয়ে যাতে দ্রুত বিচার করা যায়, সেই দাবিও জানিয়েছেন সুখেন্দু। তবে এবার একেবারে সন্দীপ আর বিনীতের গ্রেপ্তারি চেয়ে দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন সুখেন্দু শেখর রায়।