ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: আরজিকর মেডিকেল কলেজে তরুণীর চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুধু নয় শহরের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ গুলোতেও কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। কর্ম বিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।জরুরি বিভাগেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না ফলে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
Protest Against Sandip: ন্যাশনালে সন্দীপকে ঢুকতে দিতে নারাজ চিকিৎসকরা,অবস্থান বিক্ষোভ
যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক
সেই কারণে “ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন” এর রাজ্য শাখা এবং “দ্যা জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস” যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। তারা সমস্ত মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া চিকিৎসকদের অনুরোধ জানান যাতে রোগীরা জরুরী পরিষেবা পান। তাই তাদের কর্ম বিরতি না করার অনুরোধ জানান তারা। সাথে সাথে তারা এটাও জানান যে তারা আন্দোলনকে সমর্থন করেন। কিন্তু এই আন্দোলনের লড়াইটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নয়। রোগীরা যাতে চিকিৎসা পান তার দিকেও নজর দেওয়ার আবেদন করেন ওই দুই সংগঠনের সিনিয়র চিকিৎসকরা।
আরজিকর হাসপাতালের অস্থি বিভাগের বহির্বিভাগে একজন চিকিৎসকের দেখা মিললেও আন্দোলনকারীরা তাকে বের করে দেন।হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা একজন রোগী তার হাত ভেঙেছিল। প্লাস্টার করে করতে এসেও তাকে ফিরে যেতে হয়। উত্তরপাড়া আর এক বাসিন্দার সুধীর বিশ্বাস তার স্ট্রোক হয়েছিল তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করার পরও তাকে এমনভাবে ক্যাথিটার লাগানো হয় যে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার একজন বাসিন্দা তিনি রেডিও থেরাপি নিতে এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী তাকেও বলা হয় সপ্তাহ দুয়েক পরে আসতে। এরকম বহু জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভীষণভাবে নাজেহাল হতে হচ্ছে। চিকিৎসক পড়ুয়াদের কর্ম বিরতির জেরে চিকিৎসা না পেয়ে তাদেরকে বাড়ি ফেরত যেতে হচ্ছে। তাই “ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন” এবং “দ্যা জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর” এই দুই সংগঠন বারবার অনুরোধ করেছেন চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাছে যাতে রোগীরা তাদের সঠিক পরিষেবা পান সেদিকে নজর দিতে।