R G KAR HOSPITAL

ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট: সোমবার সকালে আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করলেন। অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। আরজিকর হাসপাতালের মহিলা ট্রেনি চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আরজিকর হাসপাতালে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে নিয়ে আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে পড়ুয়া ডাক্তার এবং চিকিৎসক সংগঠনের একাংশ। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তার বিরুদ্ধে।  তার ফলে গত বছরের মাঝামাঝি তে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয় সন্দীপ ঘোষ কে। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই তিনি আবার আরজি করে ফেরত আসেন। কে তাকে আবার আরজিকর হাসপাতালে ফেরালো সেটাই প্রশ্ন।

Suvendu Claims: প্রিন্সিপালের ভূমিকা সন্দেহজনক, সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

আত্মহত্যা নয় হত্যা

ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় শুধুমাত্র একজন  ভলেন্টিয়ার নয় আরো অনেকে যুক্ত রয়েছেন। তরুণী চিকিৎসকের হত্যাটিকে প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ আত্যহত্যা আখ্যা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রিপোর্টের পর জানা যায় যে সেটা আত্মহত্যা নয় সেটা হত্যা ছিল। মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র বলেন এই ভয়ংকর ঘটনার দায় অবশ্যই অধ্যক্ষের।

Japan Earthquake: জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সতর্কতা। দেশজুড়ে আতঙ্ক

অবশেষে সোমবার আরজিকরের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আন্দোলনের চাপে পড়ে পদত্যাগ করলেন। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন যে তিনি কারো চাপে নয় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগের খবর পেয়ে অন্ধকার আন্দোলনকারীদের বক্তব্য যে তাকে লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দিতে হবে অর্থাৎ তারা মুখের কথা বিশ্বাস করেন না এবং সেই সঙ্গে অধ্যক্ষকে ক্ষমাও চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের আরো দাবি যেই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক পদে সঞ্জীব ঘোষ থাকতে যেন না থাকেন নইলে তিনি থাকলে তদন্ত প্রবাহিত প্রভাবিত হতে পারে। আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের দুনিয়া চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বক্তব্য উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে দোষীকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জুনিয়ার ডাক্তারদের এবং আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের ফলে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী পরিষেবাতে খুব প্রভাব পড়ছে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাই ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি নো সেফটি নো ডিউটি অর্থাৎ নিরাপত্তা না পেলে পরিষেবা নয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর