ব্যুরো নিউজ,১১ আগস্ট: দেশ ছেড়ে চলে আসার পর আপাতত আশ্রয়ের ঠিকানা ভারত। একাধিকবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না হাসিনা পরবর্তী আশ্রয়ের ঠিকানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, ততক্ষণ নয়াদিল্লিতেই থাকবেন। এবার বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, নয়া দিল্লির গোপন ঠিকানায় থাকা অবস্থায় হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে কথায় বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন।
New CAA Rules: মোদি সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন হিন্দুরা
ঘনিষ্ঠ মহলের আলোচনায় কি বলেছেন হাসিনা?
ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলোচনায় হাসিনা বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে অন্যায় ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমেরিকাকেই সরাসরি তিনি দায়ী করেছেন। দেশ ছেড়ে চলে আসার আগে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে যে বক্তৃতা দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রের মারফত, হাসিনা আমেরিকার কথামতো বঙ্গোপসাগরে তাদের আধিপত্য বাড়ানোর জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকার হাতে না তুলে দেওয়ার মাসুল হিসেবেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তবে পাশাপাশি হাসিনা বাংলাদেশিদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, যেন মৌলবাদীদের দ্বারা তারা পরিচালিত না হন। আমেরিকার হাতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব তুলে দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন মুলুককে ছড়ি ঘোরাতে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। এমনটাই জানিয়েছেন হাসিনা। তার ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে কথায় যে সমস্ত কথা বলেছেন সূত্র মারফত পাওয়া সেই সমস্ত খবর অনুযায়ী, আমেরিকার হাতে সেই দ্বীপ না তুলে দেওয়ার কারণেই তাকে দেশ ছাড়ার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে আবার তিনি দেশে ফিরে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
RGKar Case Update:আরজি কর কান্ডে আর কারা জড়িত?বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ
এমনও জানা গিয়েছে, হাসিনা যে ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন, তাতে তিনি দেশবাসীকে ওই ভিডিওর পুরো বক্তব্যটি দেখতে আবেদন করেছেন। সেখানে ছাত্রদের এই নিষ্পাপ মনোভাবের সুযোগ নিয়ে যারা জিহাদি ষড়যন্ত্রকারী তারা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসিনা। প্রসঙ্গত, হাসিনা জমানার পরিবর্তনের পিছনে “বিদেশি হাতের কথা” সাউথ ব্লকও উড়িয়ে দেয়নি। সর্বদলীয় বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে জানতে চান। তখন বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই এক্ষুনি উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়।’ গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভোটের আগে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন জানায়, বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে যারা, তাদের আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা দেওয়া হবে না। আর তারপরেই বিরোধীদের সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দেশের দক্ষিণ- পূর্ব প্রান্তের এই একমাত্র দ্বীপ সেন্ট মার্টিন এর দখলদারি নিয়ে দরকষাকষি করে আমেরিকা। আয়তনে ছোট হলেও সেখানে আমেরিকা সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। আর হাসিনা তার ঘনিষ্ঠজনদের কথায় সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলে জানা গিয়েছে।