sheika hassina update

ব্যুরো নিউজ,৯ আগস্ট: দেশ ছেড়ে চলে আসার পর এখনো পর্যন্ত আপাতত রয়েছেন ভারতে। কিন্তু কোন দেশের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবেন শেখ হাসিনা? এই প্রশ্নটিই বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলেও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, হাসিনা প্রথমে লন্ডন যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই জায়গায় ব্রিটেন সরকার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কৌশলে হাসিনাকে লন্ডনে থাকতে দিতে গররাজি হয়। যদিও লন্ডনে হাসিনা আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারে যা শোনা যাচ্ছে, সেটা গুজব বলে দাবি করেছেন হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

ভাতার জন্য যারা তৃণমূল করেন, সাবধান!আরেকটা সুরাবর্দি আসছে.. হুশিয়ারি শুভেন্দুর

ভারত-ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীর আলোচনা

দিল্লিতেই শেখ হাসিনা আপাতত রয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন হাসিনার মেয়ে। এই প্রসঙ্গে হাসিনা পুত্র বলেন, দিল্লিতে শেখ হাসিনা আছেন। ভালোই আছেন। আমার বোন দিল্লিতে থাকেন। তার সঙ্গেই রয়েছেন। তবে খুব মন খারাপ। কিন্তু শেখ হাসিনা চলে আসার পরেও বাংলাদেশ জুড়ে হিংসা এতটুকুও থামেনি। ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুস। তিনি শান্তির পক্ষে বার্তা দিলেও বাস্তবে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে বেনজির হামলা চলছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভারতের পশ্চিমবাংলার সীমান্তের ওপারে হাজারে হাজারে জড়ো হচ্ছেন। যখন এরকম একটা টালমাটাল পরিস্থিতি, তখন শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত কোথায় আশ্রয় নিতে পারেন, এই জল্পনার মধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছিলেন ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।

বাংলা সীমান্তের কাছেই জেল ভেঙে পালিয়েছে কয়েকশো জামাত জঙ্গি, কড়া নজর বিএসএফের

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়। শুধু বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নয়, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। এই বিষয়ে জয়শঙ্কর একটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার ওদিকে পশ্চিম এশিয়ায় ইরান আর ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ এখন প্রায় সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আবার কি হতে পারে, সেই আশঙ্কাতেও রয়েছেন অনেকেই। আর তার মধ্যে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি প্রথমে লন্ডন চলে যেতে চান শোনা গেলেও ব্রিটিশ সরকারের উদ্বাস্তু আইনে সেখানে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেই জানা যায়। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রী ডেভিড ল‍্যামির সঙ্গে কথায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলেও হাসিনার প্রসঙ্গে কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্রিটেন, তা এখনও পর্যন্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠে আসেনি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর