ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট: তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মুগ্ধকর নিদর্শন। ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য। ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন যা সৌন্দর্যের প্রতীক।ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন।আর তাজমহল নিয়ে বিতর্ক বুহু দিনের, শোনা যায় যে,তাজমহল আগে নাকি শিব মন্দরি ছিল মুঘল সম্রাট শাহজাহান এই মন্দরটি ভেঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম জন্য সমাধি স্থাপন করেন।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ কেন?হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য
অবশেষে পারলেন কি গঙ্গা জল ঢালতে
জীবন যুদ্ধে হার, প্রয়াত ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়
এবার শিব এর কাছ থেকে স্বপ্নদেশে পেয়ে তাজমহলে গঙ্গা জল নিয়ে যান মিনা রাঠোর। তিনি একজন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য।তিনি দাবি করে বলেন যে,তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া। তাই আমি তেজো-মহালয়ায় গঙ্গাজল নিবেদন করতে এসেছি।প্রতিবছরের মতো এবারও উত্তরপ্রদেশে শ্রাবণ মাসে কাওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। আর যাত্রা শুরু না হতেই বেশ বিতর্ক কিছু সামনে এসেছে। বেশ কয়েক বছর আগে হরিদ্বারে কাওয়ার যাত্রার রাস্তায় সমস্ত মসজিদ ও মাজারকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। এবারে যাত্রয় গঙ্গা জল নিয়ে সোজা তাজমহলে হাজির হলেন এই যাত্রায় অংশদানকারী এক মহিলা। এই পূর্নার্থী দাবি করেছেন যে, ভগবান শিবের কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েই নাকি তিনি গঙ্গাজল ঢালতে এসছে তাজমহলে। যদিও শেষমেষ মহিলাটিকে বাধা দেয় পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারি পুলিশ কমিশন সৈয়দ আবীর আহমেদ বলেন, ওই মহিলাকে তাজমহলের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাকে পশ্চিম গেটে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি নিজেই রাজেশ্বর মন্দিরে গঙ্গাজল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সংঘ পরিবার দাবি করে যে, তাজমহল একটি পুরনো মন্দির। যার নাম ছিল তেজো মহালয়া। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভায় মুখপত্র সঞ্জয় জাট মহিলাটির কথাটিকে সমর্থন করেছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, তাজমহল আসলে ভগবান শিবের মন্দির। এখানে গঙ্গাজল ঢালার তাদের অধিকার আছে। কাসগঞ্জের সোরন থেকে কাওয়ারা যাত্রা এসেছিলেন এই মহিলা।প্রায় দুদিন পর আগ্রা পৌছেন তিনি।
শহর জুড়ে হকার সমীক্ষা শুরু আজ থেকে।সময় বেঁধে দিলেন মেয়র পারিষদ
তাজমহল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক চলেছে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এই ব্যাপারটা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এটিকে শিব মন্দির বলে দাবি করেন। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে, এএসআই ২০১৭ সালে আদালতকে জানান যে এটি মন্দির নয় এটি একটি সমাধি।