galapagos yellow belly sank

ব্যুরো নিউজ,৩০ জুলাই: গালাপাগোস ইয়েলো বেলী সাপের নাম শুনলেই মানুষের মাথায় যেটা প্রথম আছে সেটি হল সাপটির পেটটি হলুদ রঙের। একদমই তাই। এই সাপটির পুরো পেটটা অর্থাৎ যাতে ভর করে তারা চলে সেটা পুরোটাই হলুদ রঙের এবং মুখটি সূচালো, অনেকটা পাখি ঠোঁটের মতো।কয়েক বছর আগে দীঘার সমুদ্র সৈকতে এই সাপের দেখা মিলেছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পর্যটকেরা। এর আগে ইয়েলো বেলী সাপ খুব একটা চর্চায় আসেনি।

বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনের আগাম জামিনের আর্জি বাতিল কলকাতা হাইকোর্টে

ইয়েলো বেলী সাপ কামড়ালেই প্যারালাইসিস

হঠাৎ করেই এবার আবার এই সাপটির দেখা মিলল বকখালীর সমুদ্র সৈকতে। ঘটনাটি গত শনিবার দুপুরের। তখন সমুদ্রে ভরা জোয়ার চলছিল। পর্যটকেরা তখন সমুদ্রে স্নান করছিলেন। হঠাৎ করেই একটি ইয়োলো বেলি সাপকে ভেসে আসতে দেখতে পাওয়া যায়। সেই সাপটিকে প্রথম লক্ষ্য করেন সমুদ্র সৈকতে কর্মরত সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। সাথে সাথেই তারা পর্যটকদের সমুদ্র থেকে উঠে আসতে বলেন। ততক্ষণে পর্যটকদের মধ্যে রীতিমত হৈ-হুল্লোড় পড়ে যায়,আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই। সমুদ্র সৈকতে কর্মরত সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করেন এবং বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন।

পুজোয় ঘুরে আসুন এই অফবিট গ্রাম, ভুলতে পারবেন না কোনোদিন

সর্প বিশারদদের মতে, ইয়েলো বেলী সাপ ভীষণ বিষধর প্রজাতির একটি সাপ,কামড়ালেই প্যারালাইসিস এমনিতে সাধারণত শান্ত স্বভাবের। কেউ তার গায়ে হাত দিলে বা হাত পড়লে নিজেদের রক্ষার স্বার্থেই কামড়ায়। এই বিষধর প্রজাতির ইয়েলো বেলী সাপকে সাধারণত পশ্চিম উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। সাপটির বিষ নিউরো টক্সিক প্রকৃতির অর্থাৎ এদের বিষ সরাসরি স্নায়ুতন্ত্র কে আক্রান্ত করে এবং এদের বিষে মায়োগ্লোবিনিউরিয়া নামক উপাদান থাকে যার ফলে মাংসপেশী কেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।ইতিমধ্যে বকখালীতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে তারা যাতে সমুদ্র সৈকতে বা সমুদ্রে না যান। বকখালীতে ঘুরতে আসা একজন পর্যটক জানিয়েছেন যে হঠাৎ করে এরকম সাপের দেখান মেলায় আমরা ভীষণ আতঙ্কিত এবং জলে নামতে ভয় পাচ্ছি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর