লাবনী চৌধুরী, ৫ জুন : শহরের গা প্যাঁচপ্যাঁচে গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘুরে আসুন সিল্ক রুট-সহ অন্যান্য অফবিট জায়গাগুলি থেকে। হাতে যদি থাকে ৫ টা দিন তবে অবশ্যই ঘুরে আসুন সিকিমের এই জায়গাগুলি থেকে।
ঘুরে আসি : নির্ভেজাল বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে যান বার্মিক
শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে রাতের ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে শেয়ার ট্যাক্সি ধরে পৌঁছে যান গ্যাংটক। সেদিন রাতে গ্যাংটক- এর এমজি মার্গেই রাত কাটাতে পারেন। সন্ধ্যায় পায়ে হেটে ঘুরে নিতে পারেন আশেপাশের মার্কেট।
পরদিন সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ুন জুলুকের উদ্দেশ্যে। পথেই ঘুরে নিন বাবা মন্দির, ছাঙ্গু লেক। চাইলে নাথুলা পাস- এও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে পারমিট চার্জ ও গাড়ির ঘরচা একটু বেশি পড়বে। সন্ধ্যায় হোমস্টের বারান্দায় বসে গরম কফিতে চুমুক দিতে দিয়ে উপভোগ করুন প্রাকৃতিক দৃশ্য।
পরদিন সকালে সূর্যদয় দেখে সকালের জলখাবার হোমস্টেতে সেরে আস্তে- ধিরে বেড়িয়ে পড়ুন অফবিট প্লেস আরিটারের উদ্দেশ্যে। সেখানে লেকের ধারেই কাটিয়ে দিতে পারবেন গোটা বিকেল। আরিটারে লেক সাইড হোমস্টেতেই সেদিনের রাতটা থাকতে পারেন।
এরপর দিনের গন্তব্য রিসিখোলা। সকালের জলখাবার হোমস্টেতে সেরে বেড়িয়ে পড়ুন রিসিখোলার উদ্দেশ্যে। সেখানে নদীর ধারের কোনও হোমস্টেতে কাটিয়ে দিতে পারেন রাতটা। এমনকি সন্ধ্যায় আগুন জ্বেলে ক্যাম্পফায়ারও কিন্তু নেহাত মন্দ হবে না।
এরপর বাড়ি ফেরার পালা। ট্রেনের টাইমের অন্তন ৪ ঘণ্টা হাতে রেখে বেড়িয়ে পড়ুন স্টেশনে উদ্দেশ্যে। চাইলে ট্রেনের বদলে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়েও যাতায়াত করতে পারেন।
এক্ষেত্রে হোমস্টেতে থাকা খাওয়া সহ জনপ্রতি ঘরচ পড়বে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
গাড়ি খরচ- প্রতিদিন ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা। (নাথুলাপাস যেতে হলে তাঁর জন্য আলাদা খরচ)