ব্যুরো নিউজ, ৩১ মে : সপ্তম দফার নির্বাচন ১ জুন। তার আগে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে ৩০ মে বিকেলে। আর দীর্ঘ প্রচার শেষে ৩০ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঐতিহাসিক স্থানেই প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধ্যানস্থ থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। এই জায়গা গোটা বিশ্ব চেনে মণ্ডপম নামে। বৃহস্পতিবারই প্রচার শেষ করে হেলিকপ্টরে তিরুঅনন্তপুরমে যান মোদী। সেখানে পৌঁছে ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজো দেন। এরপর লঞ্চে করে যান বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে। সেখানেই ধ্যানস্থ হন মোদী।
একাধিক যৌন সম্পর্ক! সঙ্গে সেক্স টেপ বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি তথা সাংসদ
বিরোধীদের ক্যামেরা ইস্যুরে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মোদীর
শক্রবার মোদী গেরুয়া বসন পরিহিত ধ্যানমগ্ন ছবি প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাঁর হাতে রয়েছে রুদ্রাক্ষের মালা। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা তিনি এইভাবেই ধ্যানস্থ থাকবেন। শুধুমাত্র তরল খাবার খাবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় থাকছে ডাবের জল, আঙুরের রস, জুস জাতীয় খাবার। এই ৪৫ ঘণ্টা তিনি মৌন থাকবেন অর্থাৎ কারওর সঙ্গে কথাও বলবেন না। এমনকী ধ্যানের জায়গা থেকে বাইরে বেরবেন না বলেও জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সূর্যোদয়ের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানে বসার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ক্যামেরা নিয়ে কেউ ধ্যান করতে যায়? বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীদের এই মন্তব্যকে কোনও গুরুত্বই দেননি প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৩১ বছর আগে এই ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ রকেই ধ্যানে বসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এখান থেকেই পাড়ি দিয়েছিলেন শিকাগোতে। তঁর চিরস্মরণীয় বক্তৃতা দিতে। আবার ওই ঐতিহ্য মণ্ডিত বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোটের আগে গেরুয়া বসনে কেদারনাথ গুহায় সাধনায় বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে ধ্যানে বসলেন মোদী। তবে এবারের স্থান কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক।