শর্মিলা চন্দ্র, ৩০ মে : রান্নার স্বাদ বাড়াতে জিরের গুণ যেমন অপরিহার্য। তেমনই স্বাস্থ্যের উপকারিতেও কিন্তু জিরের জুড়ি মেলা ভার। ওজন কমানো থেকে শুরু করে একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতে অপরিহার্য জিরে। তবে এটি খাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি মেনে খেলে ফল মিলবে হাতে না হাতে। প্রতিদিন রাতে এক কাপ বা এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। সম্ভব হলে একটু লেবু দিয়েও খেতে পারেন। চুল, ত্বক-সহ একাধিক শারিরীক সমস্যার সমাধানে এই জিরে ভেজানো জল অপরিহার্য।
এলো বর্ষা! কেরলে শুরু বৃষ্টি, বাংলায় কবে?
একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়ক
দেখে নেওয়া যাক জিরে ভেজানো জলের কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে-
টক্সিন দূর করে- জিরের জলে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে করতে সাহায্য করে। অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই জল লিভারের জন্য বেশ উপকারী।
অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় কার্যকরি- জিরের মধ্যে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যা অ্যানিমিয়ার রোগীদের চিকিৎসায় সাহায্য করে। আয়রন ছাড়া শরীরে লাল রক্ত কোষ তৈরি হতে পারে না। এই জিরে ভেজানো জল রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
হজমে সহায়ক- প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জিরের জল খেলে এনজাইম উৎপাদন হয় যা কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ এবং চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অন্যান্য বদহজম সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, বমিভাব এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
শ্বাসযন্ত্রের উন্নত করে- জিরের মধ্যে অ্যান্টি-কনজেসটিভ উপাদান রয়েছে। নিয়মিত এক গ্লাস জিরের জল খেলে বুকের সমস্যার সমাধান হতে পারে। এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর। ফলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়। এছাড়া জিরের জলে খেলে আপনার ইনসোমনিয়ার সমস্যাও মিটবে। আপনি তাড়াতাড়ি যেমন ঘুমাবেন তেমন ঘুমও খুব ভালো হবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখে- জিরের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। এটি শরীরকে ডিটোক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়। এছাড়াও এটি ব্রণর সমস্যাও দূর করে। এছাড়াও এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আপনার অকাল বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও জিরের জল ত্বকে সুন্দর রাখে এবং খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণের জন্য ত্বকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।