ব্যুরো নিউজ, ২৯ মে : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তুলেছেন, একটি শক্তিশালী দেশ বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানাতে চায়। আর তিনি এর তীব্র বিরোধিতা করায় তাঁর সরকারের সামনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে কোন দেশ সেই চেষ্টা চালাচ্ছে সেক্ষেত্রে কোনও দেশের নাম করেননি তিনি।
অবাক কাণ্ড! শহরের রাস্তার মত এবার এভারেস্টেও ‘ট্রাফিক জ্যাম’!
হাসিনার অভিযোগ, ভোটের আগে তাঁকে প্রস্তাব কড়া হয়েছিল যে, তাঁর সরকার বঙ্গোপসাগরে সেই দেশের ঘাঁটি বানাতে অনুমত দেবে, বদলে সেই দেশ তাঁকে সহায়তা করবে। তবে হাসিনার সরকার তাতে রাজি নয়। আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে ১৪ টি দলের জোট সরকারের নেত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে ১৪টি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন হাসিনা। আর সেখানেই তিনি এই বিষয়ে তাঁর ‘নারাজগি’ প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগেও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি হননি। আর এবারও তেমনই বিমানঘাঁটি বানানোর প্রস্তাবেও তাঁর একই মত। তএব হাসিনার মতে, ওই শক্তিশালী দেশটি বাংলাদেশের সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তিনি কোনও ভাবেই দেশের একাংশ ভাড়া দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান না।
এছাড়াও শেখ হাসিনার বড় আশঙ্কা যে, শুধু মাত্র একটি বিমানখাঁটি তৈরি করেই ওই দেশ খ্যান্ত থাকবে না। বরং, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটা অংশ নিজেদের আওতায় এনে সেখানে একটা খ্রিস্টান দেশ তৈরির চক্রান্তই চালানো হচ্ছে। তিনি এও বলেন, পূর্ব তিমুরের মত বাংলাদেশের একটি অংশ নিয়ে, তারপর চট্টগ্রাম, মায়ানমার নিয়ে একটা খ্রিষ্টান দেশ বানাবে। বঙ্গোপসাগরে একটা এয়ারবেস বানাবে। এখানে বেস বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এছাড়াও তাঁর বক্তব্য, এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার উপর সেই দেশের নজর। তবে তিনি জানান, তিনি কোনই ভাবেই তা হতে দেবেন না।