লাবনী চৌধুরী, ২৫ মে : আর মাত্র একটা বছর। তারপরেই যক্ষা মুক্ত হবে ভারত। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ এর মধ্যে দেশে যক্ষা নির্মূল করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
যেখানে গোটা বিশ্বের কাছে সেই সময়টা ২০৩০ সাল। সেই জায়গায় আগামী বছরের মধ্যে ভারতকে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্য ভারত সরকারের। ভারত সরকারের লক্ষ্য 2025 সালের মধ্যে যক্ষ্মা (টিবি) নির্মূল করা। যক্ষা নির্মূলের অর্থ হল, ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১ জনেরও কম মানুষ টিবি আক্রান্ত হওয়া উচিত। পাশাপাশি ১ লাখ জনসংখ্যায় ১০ জনেরও কম যক্ষা আক্রান্ত হওয়া উচিত।
‘নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ, গভীর রাতে…’ ভোটের সকালে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে দেশে প্রতি এক লক্ষের মধ্যে যক্ষ্মা রোগীর হার ২১৭। মৃত্যুর হার প্রতি লক্ষে ২৮। সরকারের লক্ষ্য, এই হার কমানো। ভারত চায় ২০২৫ সালের মধ্যেই যেন প্রতি লক্ষে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমে হয় ৪৫। আর মৃত্যুর হার প্রতি লক্ষে তিন।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য 2035 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী যক্ষা নির্মূল করা। তবে ভারত সরকারের লক্ষ্য 2025 সালের মধ্যে যক্ষা নির্মূল করা। এটি সরকারের পক্ষ থেকে একটি জঙ্কল্যান মূলক ভাল প্রতিশ্রুতি বলেই মনে করছে সকলে।
টিবি বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় এবং ভারত-সহ অনেক দেশে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এটি। তাই এবার যক্ষা নির্মূলের কাজে ডঃ সৌম্য স্বামীনাথনকে যক্ষ্মা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রধান উপদেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কে ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন?
ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন হলেন প্রয়াত কৃষি বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথের কন্যা। তিনি গত ৩০ বছর যক্ষা এবং এইডস নিয়ে গবেষণা করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- র প্রধান বিজ্ঞানীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তার হাত ধরেই দেশকে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।