ব্যুরো নিউজ, ২২ মে : আজ বঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক তিনটি সভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র। এদিন ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন অমিত শাহ। আর সেখান থেকেই একাধিক পুলিশি অভিযান নিয়ে সরব হন শাহ।
প্রসঙ্গত, গতকাল একের পর এক অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর গেস্ট হাউজে। ও পড়ে মধ্যরাতে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টপাধ্যায়ের আপ্তসহায়কের বাড়িতে। এই দুই ঘটনায় কার্যত উত্তাল রাজ্জ্য- রাজনীতি।
কলকাতায় ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ! ‘পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ…’, জানালেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে শুভেন্দু ও হিরণ দুজনেই দাবি করেছে পুলিশের কাছে কোনও ওয়ারেন্ট ছিল না। তাঁরা তা দেখতে চাইলে তাদের সার্চ ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। তাই বিনা সার্চ ওয়ারেন্টে কীভাবে পুলিশ অভিযান চালাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, তাঁর বা তাঁর অনুমোদিত লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে পুলিশ? যদি দুটো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে দেওয়া হয়, তার দায় কে নেবে? সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আর এরপরেই কোলাঘাট থানায় যান তিনি। সেখানে কার্যত প্রশ্নের ঝড় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। থানার বাইরেও চলে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ- স্লোগান। এরপর থানা থেকে বেরিয়ে গর্জে ওঠেন শুভেন্দু। বলেন, যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর শেষ আমি দেখে ছাড়ব। এমনকি তিনি এও বলেন যে, রাতেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ তিনি কমিশনকে পাঠাবেন। আর যা হবে তা আইনি পথেই।
আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনের আপ্তসহায়ক তমঘ্নর খড়গপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবিষয়ে হিরণ বলেন, কি কারনে পুলিশি অভিযান তা জানায়নি। এমনকী তল্লাশি করার কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গী এসেছে। পুলিশকে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করা হচ্ছে।
আর এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অমিত শাহ। এদিন শাহ বলেন, মমতা দিদি রেড করাচ্ছেন। কিচ্ছু পাওয়া যাবে না। আমাদের শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে রেড করিয়েছেন, ২৫ পয়সাও পাওয়া যায়নি। আমাদের নেতার বাড়িতে রেড করলে কিচ্ছু পাওয়া যাবে না। আমাদের এইভাবে ভয় পাওয়ানো যাবে না। যত সন্ত্রাস করবেন, ততই পদ্ম ফুটবে, বলে গর্জে ওঠেন শাহ। তবে প্রথম থেকেই রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি, কারচুপির অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় হেভিওয়েটরা। আর এবারও রাজ্যের ‘পুলিশি সন্ত্রাস’- এর বিরুদ্ধে সরব হন শাহ।