ব্যুরো নিউজ, ২৪ এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বিপাকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। একদিকে যখন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকার, তখন ফোনের কন্ঠস্বরের সঙ্গে মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বর। গ্রেফতারের পর থেকে কাকুর কন্ঠস্বর সংগ্রহ করতে কালঘাম ছুটেছিল ইডির। বেশ কয়েকমাস পর কন্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে পারে ইডি। অবশেষে সেই নমুনার ফরেন্সিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। বুধবার সেই রিপোর্টের বিষয়ে আদালতকে জানিয়েছে ইডি।
বোমা ফাটালেন হুমায়ুন কবিরের অস্বস্তিতে মমতা
বিপদ বাড়ছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ও তার ‘বস’-এর
কলকাতা হাইকোর্টের কড়া হুঁশিয়ারির মুখে মুখ্যসচিব
এদিন ইডির আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে জানান, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা আমাদের স্বপক্ষেই এসেছে।’ উল্লেখ্য, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি অডিয়ো ক্লিপ পায় ইডি। সেই অডিও ক্লিপে শোনা যায়, রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফোনে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেল। সেই কন্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের বলে দাবি করে ইডি। এরপর থেকেই কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তৎপর হয় ইডি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নাম জড়িয়েছে, ‘লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস’ নামে এক সংস্থার। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ইডি জানায়, এই সংস্থার মোট ১৩৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপর বিচারপতি বলেন, ‘অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন?’ বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে ইডির আইনজীবী জানান, প্রতিদিনই তদন্তে এগোচ্ছে। এরপর বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ জানায়, আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আর ওই দিন সব তথ্য নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার, আগামী দিনে ‘কালীঘাটের কাকু’ ও তার ‘বস’-এর জন্য কী অপেক্ষা করছে।