লাবনী চৌধুরী, ২৬ ফেব্রুয়ারি: পাঞ্জাব ও জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে অবস্থিত শাহপুর কান্দি ব্যারেজ। এই শাহপুর কান্দি ব্যারাজের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে রাভি নদী থেকে পাকিস্তানে জল প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ।
এর অর্থ হল, জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চল এখন ১ হাজার ১৫০ কিউসেক জল পেয়ে উপকৃত হবে, এর আগে এই জল বরাদ্দ ছিল পাকিস্তানের জন্য। কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলার 32 হাজার হেক্টর জমি এই জল পেয়ে সেচের কাজে উপকৃত হবে। সেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই শাহপুর কান্দি ব্যারেজ প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত তিন দশকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে এই প্রকল্পটি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শাহপুর-কান্দি বাঁধ প্রকল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কারণ এই প্রকল্পটি বাস্তবাহিত হলে জম্মু ও কাশ্মীরের হাজার হাজার একর কৃষি জমিতে সেচের কাজে উপকৃত হবে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
2018 সালের 8 সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব এলাকা সংলগ্ন শাহপুর-কান্দি বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। যা গত 40 বছর ধরে আটকে ছিল। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 1960 সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জল চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী রাভি, সুতলজ এবং বিয়াস নদীর জলের উপর ভারতের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। যেখানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীর উপর।
উবের হাত ধরে ইলেকট্রিক যাত্রীবাহী গাড়ি চালু করছে আদানি
শাহপুর কান্দি ব্যারেজের কাজের সমাপ্তির ফলে ভারত রাভি নদীর জল সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি এটি নিশ্চিত করে যে ,পুরানো লখনপুর বাঁধ থেকে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত জল এখন জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে।
শাহপুর কান্দি ব্যারেজ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন 1995 সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও-এর আমলে৷ তবে, এই প্রকল্পে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব সরকারের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার ফলে এটি সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত ছিল৷
ভারত ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাধের কাজ তৈরি করে ফেলেছে। যার মধ্যে রয়েছে সুতলেজ নদীর উপর ভাকরা বাঁধ, বিয়াস নদীর উপর পং এবং পান্ডোহ বাঁধ এবং রাভি নদীরর উপর রঞ্জিতসাগর (থেইন ) বাধ। বিয়াস-সাতলেজ সংযোগ এবং ইন্দিরা গান্ধী নাহার প্রকল্পের মতো বাধগুলির জন্য ভারতের পূর্ব দিকের নদীগুলির 95% জল ভারত ব্যবহার করতে সক্ষম। কিন্তু তাও 2 মিলিয়ন একর-ফুট জল মাধোপুরের নীচে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল। যার সঠিক ব্যবহার হচ্ছিল না। তবে এই শাহপুর কান্দি ব্যারেজ প্রকল্পের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের কৃষি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।