ব্যুরো নিউজ,১৯ ফেব্রুয়ারি: কয়েকদিন ধরে চলা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের।
আজ শীর্ষ আদালতে সন্দেশখালি মামলার শুনানি
এই ঘটনার পর থেকেই গোটা পরিবার নিয়ে চম্পট দেয় শেখ শাহজাহান। সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পথে নেমেছেন স্থানীয়দের একাংশ। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সেই সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয় হাই কোর্টে। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তালিকা মেনেই সন্দেশখালির জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে জানতে চান, যিনি মামলা করেছেন তিনি কী নিজে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন? তিনি কী কোন সমাজকর্মী? তাহলে এই মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন কেন? ডিভিশন বেঞ্চের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সোমবার যেহেতু হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে, তাই সেখানে কী হয় তা দেখতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত সোমবার হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। গত শুক্রবার আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত হাই কোর্টে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর আর্জি ছিল, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। সমস্ত কিছু শুনে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ইভিএম নিউজ