ব্যুরো নিউজ,৭ ফেব্রুয়ারি: কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম মধ্যবিত্তের কপালে এনেছিল চিন্তার ভাঁজ। সেই দাম এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই এবার রসুনের দামে সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ার যোগার। জেলার খুচরো বাজারে রসুনের দাম ৫০০ টাকা কেজি ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও সেই দাম গিয়ে ঠেকেছে ৫৫০ এ! আবার পাইকারি বাজারেও রসুন বিকচ্ছে ৪০০-৪৩০ টাকা কেজি দরে।
রসুনের দাম বাড়াচ্ছে মধ্যবিত্তের চিন্তা
রসুনের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখা জানিয়েছে, জোগানের থেকে চাহিদা বেশি থাকার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, খুব শিগগির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশাবাদী তরকারি বিক্রেতারা। আনাজ বিক্রেতারা জানিয়েছে, রসুনের এই অগ্নিমূল্যর কারণে রসুনের বিক্রিও কমে গিয়েছে। ফলে অনেকেই লোকসানের ভয়ে রসুন বিক্রি করতে ভরসা পাচ্ছেন না।
বঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী | শীত কাটিয়ে গরমের পূর্বাভাস
শীতের সময় রসুনের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। পিকনিক হোক বা বিয়েবাড়ি সর্বত্রই রসুনের চাহিদা সীমাহীন। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি স্বপন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বছর রসুন চাষ করার সময় অকাল বৃষ্টি হয়েছিলো। ফলে রসুনের উৎপাদন খুব কম হয়েছে। ফলে সময়মত বাজারে নতুন রসুনের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর কথায়, “চাহিদার থেকে জোগানের পরিমাণ কম থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অবৈধ কারবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা ওই বিষয়ের উপর নজর রাখছি”।
বাজারে আনাজ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “মাছ-মাংস ও অন্যান্য বেশ কিছু রান্নার ক্ষেত্রে স্বাদ বাড়াতে রসুন অপরিহার্য। কিন্তু, রসুনের যা দাম বেড়েছে, তাতে সব রান্নায় রসুন ব্যবহার করা অসম্ভব। ফলে, যেটুকু না হলেই নয়, সেটুকু কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে”। ইভিএম নিউজ