ব্যুরো নিউজ, ২ ফেব্রুয়ারি: বোরিং যন্ত্রের মাধ্যমে রাজারহাট-গোপালপুর ও রাজারহাট-নিউ টাউন বিধানসভা এলাকার ভূগর্ভস্থ থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জল। এরপর সেই জল পরিশোধন করে বড় বড় ড্রাম ও বোতলে ভরে রাখা হচ্ছে। এরপর সেই বোতলভর্তি জল পানীয় জল হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা একেবারে বেআইনি। এখানেই শেষ নয়। যেই জল বেচে যাচ্ছে, সেই জল অবাধে ফেলে দেওয়া হচ্ছে নর্দমায়!
বিষয়টি সম্পর্কে গতবছর বিধাননগর পুরসভাকে বিশ্ব জল দিবসে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ স্মারকলিপি দিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, ভূগর্ভস্থ জলস্তরের উপরে এর প্রভাব পড়ছে। মানুষ যদি নিজের প্রয়োজনীয় দিকটিকে গুরুত্ব দেয় তবে সেক্ষেত্রে পরিশোধিত অংশের বাইরের জল পুনরায় মাটিতে রিচার্জ করানোর ব্যবস্থা পুরসভাকে করা উচিৎ।
ভূগর্ভস্থ জলস্তরের উপর প্রভাব
তবে বিধাননগর পুরসভা জানিয়েছে, বিজ্ঞান মঞ্চ আমাদের বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর আগে ২০২২ সালে পুর বোর্ডের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছিলো।
এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ তুলসী সিংহ রায় বলেন, “আমরা বিজ্ঞান মঞ্চের চিঠি পেয়েছি। কিন্তু যেখানে জল তোলা বেআইনি সেখানে জল রিচার্জের প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে ? আমরা যে সব প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যবস্থা নিয়েছি, সে সব প্রকল্পের কারও পুরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা সুইডের শংসাপত্র ছিল না”। কোথায়, কতগুলি এমন জলের কারখানা চালু আছে, সেটাও তো ঠিক মতো জানা নেই”। এই সমস্ত কাজ পুরপ্রতিনিধিদের। তাহলে কি তারা এই বিষয়ে কোন খবর রাখে না? তুলসীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন জবাব দেননি।
বিধাননগর এলাকার নেতাজিপল্লির বাসিন্দা ভীম দাস বলেন, “সল্টলেকের জল অফিস থেকে সমস্ত কাগজপত্র করে দেওয়ার লোক আছে। আমারা বেআইনিভাবে কিছু করিনা”। তবে ওই জল অফিসের ঠিকানা তিনি জানাতে পারেননি। ইভিএম নিউজ