খাওয়া

ব্যুরো নিউজ, ২৪ জানুয়ারি: নেই মিড-ডে মিল খাওয়ার ঘর, বেহাল দশায় স্কুল 

কৈচর ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দিরের বয়স ষাট বছর। ছাত্রী সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশোর থেকে কিছু বেশি। কিন্তু আজও  সেই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ার কোনও ঘর নেই। ফলে শীত, গীষ্ম, বর্ষা বারো মাসই খোলা আকাশের নীচে অথবা গাছতলায় বসে মিড-ডে মিল খেতে হয় ছাত্রীদের। কনকনে ঠান্ডাতেও ছাত্রীরা খোলা জায়গায় বসে মিড-ডে মিল খায়। বৃষ্টি হলে ভাতের থালা নিয়ে ছুটতে হয় স্কুলের বারান্দা অথবা ক্লাসরুমে। বছরের পর বছর পড়ুয়াদের এই কষ্ট দেখে শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বহু বার প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মহুয়া বন্ধু ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দেবপ্রিয়া গোস্বামী জানায়, “সেই পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমরা খোলা জায়গায় বসে মিড-ডে মিল খাই। বর্ষাকাল ও প্রখর রোদে খুবই কষ্ট হয়। বসে খাওয়ার জন্য একটা ঘর থাকলে খুবই ভাল হয়”।

ভজাকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গার্গী সামন্ত বলেন, “আমাদের স্কুলে বেশির ভাগ গরিব ঘরের মেয়েরা পড়াশোনা করে। তাদের মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য অনেক আবেদন নিবেদন করেও ঘর পেলাম না। ব্লক অফিস থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা মিলেছিল। তা দিয়ে কোনও রকমে রান্নাঘর সংস্কার করা হয়েছে”। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “ওই স্কুলে পাঁচিল ও দু’টি ঘর আগেই করে দেওয়া হয়েছে। মিড-ডে মিলের ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। আশা করি শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর