ব্যুরো নিউজ, ২৬ ডিসেম্বর: শাহ ও নাড্ডার বৈঠকে মঙ্গল পান্ডে ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো
সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ বিজেপির বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা। এই বৈঠকে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে থাকবেন। নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেলে আজ দুপুরের বৈঠকে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছালেন মঙ্গল পান্ডে ও পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ন এটা স্বাভাবিক। আমরা ১২ মাস মাঠে থাকি। অমিত শাহ এর কাছে বাংলা খুবই প্রিয়। বাংলাকে খুবই গুরুত্ব দেন তিনি।
এই বৈঠকে রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিশদ আলোচনা করে প্রাথমিক নামের খসড়া তালিকা তৈরি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত খসড়া নামের তালিকায় লোকসভা কেন্দ্র পিছু একাধিক নাম থাকে। পরে সেখান থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। সোমবার রাত ১১:৩০ মিনিট নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছন শাহ ও নাড্ডা। প্রথমে শুধু শাহ-ই রাজ্যে আসবেন বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁর সাথে আসেন যে পি নাড্ডা। আজ রাতেই তাঁরা দিল্লী ফিরে যাবেন।
শহরে শাহ | লোকসভা কেন্দ্রে ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ শাহের
যদিও বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট এক নেতা জানিয়েছেন, ‘লোকসভায় আমাদের ফল ভালো হবে। নতুন কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা জয়ী হব, হয়তো গতবারের জেতা কয়েকটি লোকসভা এবার হাতছাড়া হতে পারে। তবে ২০১৯ সালে যে সংখ্যায় আসন জিতেছিলাম, এবারও মোট জয়ী লোকসভার সংখ্যা প্রায় একই থাকবে’।
নিচুতলার নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়াও বিজেপির জেলায় জেলায় রয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ। কোন লোকসভা কেন্দ্রে কে উপযুক্ত প্রার্থী, তা নিয়ে প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, রানাঘাট, পুরুলিয়া-সহ যে লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সিটিং এমপি রয়েছেন, তাঁদেরই ফের টিকিট দেওয়া সঠিক হবে কি না—তা নিয়েও বহু মতভেদ রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। ইভিএম নিউজ