ব্যুরো নিউজ, ৯ ডিসেম্বর: বিশ্বজুড়ে বড়দিনের উৎসব! উদযাপন হয় না কোন কোন দেশে?
গোটা দেশে এখন বড়দিনের সেলিব্রেশন। সেজে উঠেছে শহর থেকে গ্রাম। খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হলেও একাধিক অ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও এই বড়দিনের উৎসবে গা ভাসিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দিনটিকে মনে-প্রাণে মেনে নেয়নি অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায়। তার মধ্যে রয়েছে অনেক বড় বড় দেশের নাম।
ক্রিসমাস ডে হল খ্রিষ্টানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটিই যিশুর জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়। কথিত আছে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। বলা হয় বিশ্ব থেকে হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই জন্ম নেন যিশু। এমনকী অনেকেই যিশুকে সূর্যের সন্তানও মনে করেন। কিন্তু কিছু দেশ আছে যেখানে ক্রিসমাস উদযাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই দেশের মধ্যে রয়েছে…
জানেন সান্তাক্লজের গ্রামটি কেমন?
ভুটান: এই দেশে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী জনসংখ্যা বেশি। খ্রিস্টধর্মের মানুষ এক শতাংশেরও কম। শুধু তাই নয়, ভুটানি ক্যালেন্ডারেও বড়দিনকে স্থান দেওয়া হয়নি। তাই ভুটানে বড়দিনের সেলিব্রেশন হয় না।
পাকিস্তান: ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানে সরকারির খাতায় ছুটির দিন, মুসলিম জনসংখ্যার এই দেশে এখানকার বাসিন্দারা এই দিনটিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নার জন্মবার্ষিকী হিসাবে উদযাপন করে থাকে। এখানে বড়দিনের বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান বা উত্সব পালন করা হয় না।
সোমালিয়া: আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ২০১৫ সালে ধর্মীয় আইন জারি হওয়ার পর এখানে বড়দিনের উৎসব উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতির কারণে এখানে বড়দিন উদযাপন করা হয় না।
আফগানিস্তান: বড়দিন হল খ্রিস্টধর্মের একটি বিশেষ উৎসব এবং আফগানিস্তানে খ্রিস্টান ও ইসলামের মধ্যে বহু বছর ধরে চলে আসা বিরোধের কারণে এখানে বড়দিন উদযাপন করা হয় না। আফগানিস্তান একটি ইসলামিক দেশ এবং এখানে বসবাসকারী মুসলিম ধর্মের মানুষজন খ্রিস্টান উৎসব উদযাপনের বিপক্ষে।
চিন: এই দেশেও বড়দিন পালন করা হয় না। চিন কোনও ধর্মে বিশ্বাস করে না, তাই এখানে বড়দিন উদযাপন হয় না। চিনে, ক্রিসমাস একটি স্বাভাবিক কাজের দিন হিসেবেই পালিত হয়। আলাদা করে কোনও অনুষ্ঠান এদিন করা হয় না। এই দেশগুলি ছাড়াও, ইরান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, বাহরাইন, লিবিয়া, কম্বোডিয়া এবং ইজরায়েলেও বড়দিন পালিত হয় না। ইভিএম নিউজ