ব্যুরো নিউজ, ৩০ নভেম্বর: তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর উত্থানের ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন…
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধাননগর পুরনিগমের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই-এর বিশেষ প্রতিনিধি দল দেবরাজের রাজারহাট রোডের বাড়িতে হানা দেয়। এই বাড়িতেই থাকেন তাঁর স্ত্রী রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বিধায়ক তথা গায়িকা অদিতি মুন্সী। বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ভেতরে চলছে তল্লাশি।
স্ত্রী বিধায়ক হলেও, রাজনৈতিকগত ভাবে দেবরাজের উত্থানের ইতিহাস যথেষ্টই চমকপ্রোদ! একসময়ে তিনি শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর রাজনৈতিক পথ চলা শুরু। পরবর্তীকালে মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে দেবরাজের সম্পর্কের অবনতি হয়। কারণ সে সময়ে দেবরাজের চোখে ভোটে দাঁড়াবার স্বপ্ন। আর তৃণমূল তাঁকে টিকিট না দিতে চাইলে, সে সময় দেবরাজ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগমে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন দেবরাজ। নির্বাচনের দিনই অবশ্য নির্বাচনী হিংসার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হলে শ্রীঘরে জায়গা হয় তাঁর। এরপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের তৃৃণমূলে যোগ দেন দেবরাজ।
দ্বিতীয়বার ওই এলাকাতেই জয়ী হন দেবরাজ। তবে তৃণমূলের টিকিটে। কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি বিয়ে করেন অদিতি মুন্সীকে। ২০২১ সালে বিধায়কের টিকিট পান অদিতি মুন্সী। ক্রমে দলের যুব সংগঠনেও উত্থান হয় দেবরাজের। তৃণমূল অন্দরের খবর, দলেরই শীর্ষ স্তরের এক অতি প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ দেবরাজ। এমনকি ওই প্রভাবশালী নেতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ডাকা হলে, তাঁর গাড়িতেও দেখা যায় দেবরাজকে।
তবে সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালিখাটের কাকুর সূত্র ধরেই দেবরাজের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় CBI।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সময়সীমা বেঁধে দেয়। ফলে দুর্নীতির কিনারা করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’ কে? সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ